ক্যাম্পাসেই বর-কনের গায়েহলুদ

  © সংগৃহীত

বাঙালির বিয়ে অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব গায়েহলুদ। এই মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান বা পর্ব সাধারণত বর ও কনের বাড়িতে পৃথকভাবে হয়। শহরে হল, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করেও গায়েহলুদের আয়োজন করতে দেখা যায়। আনন্দ-হৈচৈয়ের সঙ্গে গায়েহলুদে অংশ নেয় বর-কনের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা। তবে ব্যতিক্রমী এক গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড়ে একদল তরুণ-তরুণীর হলদে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে চোখ আটকে যাচ্ছে পথচারীদের। সবাই একটু-আধটু উঁকি দিয়ে দেখছে। ক্যাম্পাসে গায়েহলুদের আয়োজন যে বশেমুরবিপ্রবিতে এবারই প্রথম।

বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন ও মাটির সরা, ঘড়া, মটকা দিয়ে বিয়ের বাড়ির আমেজ তৈরির মধ্য দিয়ে বশেমুরবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুয়েল এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশার গায়েহলুদ হয়েছে।

গায়েহলুদের এ আয়োজন বর এবং কনের পরিবারের লোকজন কেউ করেননি। বিয়ের অনুষ্ঠানে সব বন্ধুরা উপস্থিত থাকতে পারবে না বলেই ক্যাম্পাসে এমন ভিন্নধর্মী গায়েহলুদের আয়োজন করে তাদের সহপাঠীরা।

চিরাচরিত গায়েহলুদের নিয়মের মতোই হলুদ, মেহেদি মাখিয়ে সম্পূর্ণ করা হয়েছে সব আনুষ্ঠিনকতা। হলুদে তাদের বন্ধুরাসহ অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে আশার বন্ধু রাফি জানান, বিয়েতে সবার পক্ষে আশার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব না, তাই বান্ধবীর বিয়ের মজা করার জন্য ক্যাম্পাসে এই হলুদের ব্যতিক্রমী আয়োজন। আমরা সব বন্ধু-বান্ধবীরা মিলে এই আয়োজন করেছি। এই আয়োজনে আমাদের বিভাগের সব সিনিয়র এবং জুনিয়ররা সহযোগিতা করেছেন।

কনে আশার কাছে ক্যাম্পাসে গায়েহলুদ আয়োজনের অনুভূতি জানতে চাইলে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তিনি বলেন, নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক বেশি আনন্দিত। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।


সর্বশেষ সংবাদ