১৪ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২৮

ক্যাম্পাসে পাখি রক্ষায় অভিনব আবাসন গ্রীণ টাচের

নানান দেশী-বিদেশী পাখির এক অভয়াশ্রম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সর্বমোট ৭৫ একরের পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩৫ হাজার ফল-ফুল, কাঠ এবং ওষধি গাছ। সবুজের এই ক্যাম্পাসে সানন্দে বসবাস করে হাজার হাজার পাখি। এই পাখিগুলো যেন ফিরিয়ে এনেছে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক এক মহাসৌন্দর্য্য যা দেখে মুগ্ধ হয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বাইরে থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ১১ বছর হলেও প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন কত যুগের। শীতকাল এবং শরৎকালে এখানে বাড়ে দর্শনার্থীদের ভীড়। সকাল, সন্ধ্যায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠে বেরোবির ক্যাম্পাস। এসব পাখি রক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রীন টাচ’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির পাশে, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে, মসজিদের পশ্চিমাংশ, ভিসি রোড, বকুলতলা রোডসহ পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে গাছগুলো। সংগঠনটি পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরির উদ্দেশে সোমবার বিকেলে ৫০টি গাছে মাটির কলস বেঁধে দিয়েছে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) আতিউর রহমান, গ্রীণ টাচের সভাপতি অভিজিত দত্ত, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, গ্রীণ টাচের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের হেড নাঈমুর রহমানসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আমি পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করেছি এবং পরিবেশ নিয়ে আমার বেশ কিছু লেখাও আছে। সব বিবেচনায় হৃদয়ে স্পন্দন অনুভব করছি যে আমি আপনাদেরই একজন সদস্য। এ ধরণের কাজ করার চিন্তা-ভাবনা আমারও ছিলো। কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে। এই ট্রেডিশনটা ধরে রাখবেন এবং প্রতিবছর এটি পালন করবেন।’

গ্রীণ টাচের এক্সিকিউটিভ বোর্ড অব হেড নাঈমুর রহমান, ‘ক্যাম্পাসকে সবুজায়ন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই আমরা বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাড়া পেয়েছি। পরিবেশ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে আমরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে সভা-সেমিনার করছি, শিক্ষার্থীদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এছাড়াও আমরা এর কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষে বিভিন্ন অভিনব কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’