র‌্যাগ ডে উদযাপন রাবিপ্রবি সিএসই বিভাগের

  © টিডিসি ফটো

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম ব্যাচের র‌্যাগ ডে উদযাপিত হলো। নিজেদের কোন হল, ক্লাস ও ল্যাব নেই। ছিলো শুধু স্বপ্ন। বিদায়ের মাহিন্দ্রক্ষণে অতীত স্মৃতি চারণই হয়ে উঠল প্রধান।

চার বছরের শিক্ষা জীবনের আট সেমিস্টারের হিসেব গুটিয়ে আজ কেবল স্বপ্নের পথে ছুটে চলা। গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবসহ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নতো ওরাই দেখতে পারে। সকাল, দুপুর বা রাত নেই ওদের টেলিফোনের জবাব যে কত বার বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকরা দিয়েছেন তার হিসেব নেই। কিছুদিন পরে নতুনের আগমন আজ পুরনোদের প্রস্থান।

সেমিকোলন না দিয়েই ভুল করেই প্রোগ্রামিং শুরু করলেও র‌্যাগ দিবসে সেমিকোলন নাম দিয়েই তা শেষ করলো ওরা। বিদায়ী মুহূর্তকে স্মরণ করে রাখতে নিয়মের বাহিরে অনিয়মের রং খেলা। অস্থায়ী হল সাজলো রঙ বে রঙে বিভিন্ন উপকরণে। বাজলো বাঁশি, সাজলো সবাই রঙে। লুঙ্গি পাঞ্জাবির ঐতিহ্যতে ফুটে উঠেছে তা। ব্যানার হাতে র‌্যালি ঘুরলো প্রধান শহরে। নিজেদের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কেক কেটে শুভ সূচনা করেন বিভাগীয় শিক্ষকরা।

রঙ, রঙিনজল, বাঁশি আর নাচ গানে কাটলো পুরো দিন। পুরো শহর যেন এক পলকে তাকিয়ে ওদের দিকে। দুপুরের খাবার সারলো নিজেদের চিরচেনা খাবার রুমে। দুই দিনের অনুষ্ঠানের পরের দিন ছিলো মিলন মেলা। স্থায়ী ক্যাম্পাসের রাতের অনুষ্ঠানে জ্বালানো হলো বিদায়ের ঝাঁড়বাতি। কাঁটা তারের বেড়া ছিঁড়ে দুটো মানচিত্রে ওরা গাইলো অনিকেত প্রান্তর।

বটবৃক্ষের মতো থাকা প্রিয় ব্যাচের প্রস্থানে অনেকটা আবেগী উত্তরসূরিরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে জানিয়ে দেয়া হলো। অনুজদের পথ প্রদর্শক হিসেবে ওরাই থাকবে অনুকরণীয়। ‘বিদায় সেমিকোলন’, এদের কষ্ট আর ত্যাগের কথা তোলা থাকবে সিএসই বিভাগের ইতিহাসে।


সর্বশেষ সংবাদ