সোনাজয়ী মারজানকে সংবর্ধনা দিয়েছে জবি

ক্যাম্পাসে মারজানকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়
ক্যাম্পাসে মারজানকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়  © টিডিসি ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) চারুকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মারজান আক্তারকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাঁচ দিন আগে দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসরে বাংলাদেশকে কারাত ইভেন্টে সোনা জয়ের সাফল্য এনে দেওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

গতকাল রোববার (০৮ ডিসেম্বর) বাবাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিলেন তিনি। এসময় সোনাজয়ী মারজানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

শুভেচ্ছা জানাতে মারজান ও তাঁর বাবাকে গুলিস্তান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ঢোকার সময় তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে ও করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় ‘জগন্নাথের গর্ব’, ‘বাংলাদেশের গর্ব’, ‘স্বর্ণকন্যা মারজান’ বলে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

ঘোড়ার গাড়িতে করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান মারজান। এ সময় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠান শেষে মারজান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সবাই যখন শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন, খুব ভালো লাগছিল। ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করতে চাই। অলিম্পিকের মতো ইভেন্টে বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণপদক জিততে চাই।’

মারজানের বাবা নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি অনেক আগ্রহী ছিল। তাঁর এই অর্জনে বাবা হিসেবে আমি অনেক গর্ব বোধ করছি। আমার মেয়ে যেন দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করতে পারে, এ জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলপ্তগীন বলেন, মারজান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব, বাংলাদেশের গর্ব। তাঁর জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশকে সবাই আরও একবার চিনেছে। বিভাগ থেকে তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ