কুবিতে বরিশাল মুক্ত দিবস পালিত

  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বরিশাল ডিভিশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘বরিশাল মুক্ত’ দিবস পালন করা হয়েছে। রবিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, ফানুস উড়িয়ে ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এসময় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কন করে এবং মোমবাতি ও প্রদীপ জালিয়ে শহীদদের প্রতি স্মৃতিচারণ করা হয়। এতে অংশ নেয় কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সংগঠনটির সভাপতি মেহেদি হাসানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সালমান হোসাইন শান্ত, সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ০৮ জানুয়ারি পাক হানাদারদের কবল থেকে বরিশাল মুক্ত হয়েছিল। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে স্লোগানে সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা আকাশ-বাতাশ মুখরিত করেছিল। ১৯৭১ এর ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বরিশাল ছিল শত্রুমুক্ত। ১৭ এপ্রিল পাক বাহিনী আকাশ পথে বরিশাল ও পটুয়াখালীতে হামলা চালায়। দ্বিতীয় দফা হামলা চালায় ২৭ এপ্রিল জল, স্থল ও আকাশপথে। বরিশাল শত্রুকবলিত হওয়ার আগেই সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল স্বাধীন বাংলা সরকারের অস্থায়ী সচিবালয়। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে নিয়ে এ সচিবালয় গঠিত হয়। এ ঘাটি থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ সরবরাহ করা হতো। মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানোর কাজও হতো এ সচিবালায় থেকে। ৮ ডিসেম্বও দুপুরে পাকসেনা অফিসাররা গানবোট, লঞ্চ, স্টিমারে বরিশাল থেকে গোপনে পালিয়ে যায়। তবে পাক কর্মকর্তাদের গোপনে পালানোর খবরটি জানাজানি হয়ে যায়। ভারতীয় বিমান বাহিনী দুপুর দুইটায় বরিশালে হামলা চালায়। পাকিস্তানি দখলদারদের পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বিকেল ৩টায় বরিশাল অদূরে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল প্রবেশ করে শহরের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।


সর্বশেষ সংবাদ