০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৩৬

চবিতে ফের ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ২, ধর্মঘটের ডাক

  © টিডিসি ফটো

দুই দফায় সংঘর্ষের পর গতকাল শনিবার হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্র। তবে থেমে নেই ছাত্রলীগের সংঘর্ষের অধ্যায়। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের ফের মুখোমুখি অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিএফসি গ্রুপের দুই নেতা সুমন নাসির ও আব্দুল্লাহ আল রায়হান রাফিকে কুপিয়ে জখম করে ভিএক্স গ্রুপের কর্মিরা। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হলে এবং ভিএক্সের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করছে। শাহ আমানত থেকে দুটি টিয়ার শেল ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে।

বিবাদমান পক্ষ দুটি হলো শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ও চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী গ্রুপ সিএফসি ও আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ও ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান বিপুলের অনুসারী গ্রুপ ভিএক্স।

আহত এক শিক্ষার্থী

এদিকে নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল (২ ডিসেম্বর) থেকে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও তার অনুসারী গ্রুপ সিএফসি। তিনি বলেন, তাপস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাপসের মতো আমাদের দুই ছাত্রনেতার উপর বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে আমরা আমাদের অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ও ২৯ নভেম্বর চবি ছাত্রলীগের দুই দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মি আহত হন। পরদিন ৩০ নভেম্বর বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করলে সংঘর্ষে জড়ানোর সুযোগ পাননি বিবাদমান পক্ষ দুটি। এদিন সন্ধ্যার পর থেকে ২ ঘন্টা যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও কয়েক বস্তা পাথর উদ্ধার করা হয়।