নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে চায় জাবি শিক্ষার্থীদের একাংশ

উপাচার্য ফারজানা ইসলামের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় একাংশ শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎ
উপাচার্য ফারজানা ইসলামের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় একাংশ শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎ  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) চলমান সংকট নিরসন করে শিক্ষা-পরীক্ষা স্বাভাবিক করা ও হল খোলার দাবিতে উপাচার্য ও আন্দোলনকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপাচার্য ও আন্দোলনকারীদের কাছে এই দাবিতে দুটি পৃথক আবেদনপত্র দেন।

দুই আবেদনপত্রে তারা ১ ডিসেম্বরের মধ্যে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল করা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন কোন কার্যক্রম না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনকারীদের কাছে দাবি জানান।

উপাচার্যের কাছে লেখা আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘গত পাঁচ নভেম্বরে উপাচার্যের বাসভবন অবরোধ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের এক জরুরী সভায় হল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপকারে আসেনি। বরং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছে, ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ, রেজাল্ট আটকে থাকায় চাকরির আবেদন করতে পারছেন না, লাইব্রেরী বন্ধ থাকায় কোন প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না এবং টিউশনি চলে যাচ্ছে। আমরা চাই, যেকোনো উপায়ে ক্যাম্পাসের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক স্বাভাবিক ও গতিশীল করা হোক।’

নিজ কার্যালয়ে আবেদনপত্র গ্রহণের সময় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘তোমাদের আবেদন গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। তবে এক তারিখ আমরা পারবো না। এখানে সরকারের অভিমত প্রয়োজন। তারা একটা তদন্ত করছেন। তবে যতদ্রুত সম্ভব আমরা চেষ্টা করবো।’ তিনি শিক্ষার্থীদেরকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।

এ সময় সেখানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদসহ উপাচার্যপন্থি বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের আন্দোলনকারীদের কাছে দেওয়া আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আন্দোলন সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার, সঠিকভাবে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াটাও অধিকার। আমাদের অনুরোধ, আপনাদের আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি যেন আমাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত না করে।’ এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোন কর্মসূচি না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবেন’ বলে শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বস্ত করেন।

সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্কসবাদী) সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুসফিক উস সালেহীন, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের কার্যকরী সদস্য রাকিবুল হক রনিসহ প্রমুখ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ