শিক্ষকেরা তাঁদের সৃষ্টির মাঝে যুগ যুগ বেঁচে থাকেন: চবি উপাচার্য

  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, মানবকল্যাণে যে জ্ঞান কাজে লাগেনা তা কখনোই প্রকৃত জ্ঞান হতে পারে না। সকল অন্ধকার-কুসংস্কার দূরীভূত করে মানবতার মুক্তির জন্য ব্যয়িত জ্ঞানই প্রকৃত জ্ঞান। আর যারা সততা ও নিষ্ঠার সাথে এই কাজে নিয়োজিত থাকেন তাঁদের বিদায় বলে কিছু নেই। তাঁরা যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকেন বিশ্ববাসীর হৃদয়ে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কে খান আইন অনুষদ মিলনায়তনের এব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা কলেন। বিদায়ী ও নবাগত শিক্ষকদের সম্মাননা-সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এর আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন -এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবদুল গফুর, পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. দেব প্রসাদ পাল, সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. লিয়াকত আলী, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র রায় এবং রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষকদের শুভেচ্ছা ও বিদায়ী শিক্ষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সম্মানিত শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ তাঁদের শিক্ষা ও গবেষণা কর্মের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান-গবেষণায় সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এই গবেষণা কর্ম একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে; অন্যদিকে জাতিকে দিয়েছে সঠিক পথের দিশা। তাঁদের হাতেই নির্মিত হয়েছে দক্ষ ও আলোকিত মানবসম্পদ যা দেশ-জাতির উন্নয়ন-সমৃদ্ধির অন্যতম পূর্ব শর্ত।

তিনি বলেন, এ সকল মহান মানুষ কখনো বিদায়ী হন না। বরং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁদের গবেষণা কর্ম অব্যাহত রেখে মানবকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন। এ সময় বিদায়ী শিক্ষকদের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল কামনা করে তাঁদের হাতে ফুল, উত্তরীয়, স্মারক ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য।

তিনি নবীন শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাদের নতুন মেধাবী শিক্ষকবৃন্দ তাঁদের মেধাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে প্রবীণ শিক্ষক-গবেষকবৃন্দের পথ অনুসরণের মাধ্যমে জ্ঞান-গবেষণায় আত্মনিয়োগ করবেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে তা বিতরণ করে দেশে দক্ষ জনশক্তি উৎপাদনে ভূমিকা রাখবেন এটাই প্রত্যাশিত’। সেশন জটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন শিক্ষকদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে যথাসময়ে ক্লাশ-পরীক্ষা এবং ফলাফল প্রকাশে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় প্রদানের আহ্বান জানান উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা সুকন্যা বাশার। অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষকদের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের প্রভাষক নাসরিন আক্তার এবং রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. আরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে চবি শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন নবাগত শিক্ষকবৃন্দকে বরণ করে নেয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ