পরীক্ষা দেয়নি, তবুও পাশ করাতে হবে শিক্ষার্থীদের!

  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘ক্রপ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি’ বিভাগের ২০১৮ সালের বি.এসসি.এজি. পার্ট-১ এর ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের জোর করে পাশ করিয়ে দেয়ার জন্য এক শিক্ষককে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষার্থীদের পাশ করাতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. মু. আলী আসগর। তবে অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তি এবং একই বিভাগের অধ্যাপক ড. যুগোল কুমার সরকার।

রেজিস্ট্রারকে দেয়া লিখিত অভিযোগপত্রে মু. আলী আসগর বলেন, ‘প্রফেসর যুগল কুমার সরকার ২০১৭ সালের দুইটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় বি.এসসি.এজি. (অনার্স) পার্ট ১ ও বি.এসসি.এজি. পার্ট ২ পরীক্ষায় অনেক দেরীতে এসে শুধুমাত্র স্বাক্ষর দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তিনি উক্ত দুইটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের নমুনা প্রস্তুতকরণে অংশগ্রহণ করেন নাই এবং দুইটি ব্যবহারিক পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে ও নোটবুক মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করেন নাই। উক্ত দুইটি পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমরা (পরীক্ষক বৃন্দ) উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় তিনি ছিলেন না। উক্ত দুইটি পরীক্ষার স্যাম্পল এর ভিত্তিতে ফলাফলে কয়েকজন ছাত্র অকৃতকার্য হয়। একজন ছাত্র রোল ১৬১১ ০৬ ৯১২১ তত্ত্বীয় পরীক্ষা দিলেও র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার হওয়ায় সকল ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ফলাফলের পর আমি ড. যুগল কুমার সরকারকে ফলাফল দেখাই। কিন্তু তিনি অকৃতকার্য ছাত্রদের পাশ না করালে তিনি স্বাক্ষর দিবেন না বলে আমাকে জানান।’

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ‘উপস্থিত পরীক্ষকবৃন্দ আমার উল্লেখিত তথ্যের সত্যতা বিষয়ে অবগত আছেন। ২০১৮ সালের বিএসসিএজি অনার্স পার্ট ১ ব্যবহারিক পরীক্ষায় যুগল কুমার পরীক্ষকদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ড. যুগোল নিজে উক্ত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে উত্তরপত্রের ফলাফলের নিচে ও ফলাফল তালিকায় স্বাক্ষর করেন ৫ জন পরীক্ষকের মূল্যায়নে কয়েকজন ছাত্র ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়।

কিন্তু পরবর্তীতে ড. যুগল কুমার সরকার ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য দের পাস করানোর জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকেন এবং আমি রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকে। এতে আমার মানহানি হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে বিনীত অনুরোধ করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে এক পরীক্ষক অধ্যপক এম এ বারী বরকতুল্লাকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে অভিযোগটি ভিত্তিহীন দাবি করে অধ্যাপক ড. যুগোল কুমার সরকার বলেন, ‘এসব তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। আমাকে ফাঁসানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ