উপাচার্য ছাত্রদের চেয়ে নিজ স্বার্থরক্ষায় মরিয়া

  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্যসহ বর্তমান প্রশাসন ছাত্রস্বার্থ রক্ষায় যতটা আন্তরিক, তার চেয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষায় বেশি মরিয়া বলে দাবি করেছেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের অন্যতম সংগঠক শোভন রহমান বলেন, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত উপাচার্যের ঢাল হয়ে যারা দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের পদোন্নতি, স্বজনদের নিয়োগের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সব প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন।

‘বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হতে চললেও প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। উপাচার্যসহ বর্তমান প্রশাসন ছাত্রস্বার্থ রক্ষায় যতটা আন্তরিক, তার চেয়ে নিজের স্বার্থরক্ষায় বেশি মরিয়া।’

তিনি বলেন, উপাচার্য অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনে গত ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপন্থি চিহ্নিত সুবিধাভোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগের একটি অংশ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেন উপাচার্য।

এরপর স্বৈরাচারী কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শিক্ষার্থীরা মানবেতরভাবে ক্যাম্পাস ও আশপাশে অবস্থান করলে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার চা-নাশতার দোকান বন্ধেরও নির্দেশ দেয় প্রশাসন।

সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিলউজ্জামান প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ