শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি সমাধানের আশ্বাস খুবি প্রশাসন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সম্যাসগুলোকে আশু, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে প্রশাসনকে অভিহিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেডিকেলে শিক্ষার্থীরা সার্বিক সহায়তা পেতে পারে সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হলের আভ্যন্তরিক সম্যসাগুলো অতি শিগগরিই সমাধান করা হবে এবং বেতন ফি এবছর আর বাড়ানো হবে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন শিক্ষার্থীদের উপস্থিততে এসব ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা বেতন ফি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করে তথ্য উপস্থাপন করে।। এ বিষয়ে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক বলেছেন, ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বেতন খাত, বিভিন্ন খাত ও ব্যায়ের সাথে পর্যালোচনা করে প্রশাসনকে অভিহত করা হবে এবং এ ব্যাপারে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে। তবে এবছর আর কোন বেতন ফি বাড়বে না।

শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের উৎকর্ষ সাধনে সম্যসা সমাধানের প্রেক্ষিতে মেডিকেল সেন্টারে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখা, অব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সচল এবং প্রয়োজনীয় নতুন যন্ত্রাংশ কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও আগামী বছরের ডিসেম্বরের দিকে মেডিকেল হাসপাতাল সরিয়ে নিয়ে রোটারি হাসপাতালে নেওয়া হবে। তখন শিক্ষার্থীরা চিকিৎসায় স্থায়ী সুবিধা ভোগ করতে পারবে লাইব্রেরিতে অধ্যয়নের সময় বৃদ্ধি করে ৭টা থেকে বৃদ্ধি করে সাড়ে ৮টা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় একাডেমিক বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রধানদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও লাইব্রেরির কার্যদিবস একদিন বাড়িয়ে পাঁচদিন থেকে ছয়দিন করা হয়েছে এবং লাইব্রেরিত একাডেমি বই ও জার্নাল বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিটা ডিসিপ্লিনকে তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছ।

পরিবহন সংকট নিরসনে চলতি মাসে দুটি বাস যুক্ত করা হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরে আরো দুটি বাস এবং আগামী বছরে আরও আটটি বাস যুক্ত করা হবে পরিবহন পুলে। আবাসন সংকট নিরসন ও অবকাঠামোগত নির্মাণ ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন দুইটি আবাসিক হল নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জায়গা সম্প্রসারণে আরও জমি অধিগ্রহণ, ফিল্ড ল্যাব ও গবেষণা ল্যাবের উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চলতি প্রকল্পে চতুর্থ একাডেমিক ভবন, টিএসসি, জিমনেশিয়ামের পরিসর ও সুবিধা বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, স্বচ্ছভাবে প্রতিটি তথ্য বিশ্লেষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তুলে ধরব। অফিসে তথ্য সেল খোলা হবে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাবে। যেসব সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান করা যায় সেগুলো অতি দ্রুত সম্ভব সমাধাণ হবে এবং যেসব দীর্ঘমেয়াদি সম্যসাগুলো ভবিষ্যৎতে ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে।

এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে চাইলে তারা জানান, কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে দ্রুততম সময়ে সকল সমস্যার সমাধানের বিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে শুধুমাত্র আশ্বাস পেয়েই সন্তুষ্ট নই, আমরা চাই বাস্তবায়ন।

উল্লেখ, গত ১৪ নভেম্বর সাধারণত শিক্ষার্থীরা ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারক লিপি প্রদান করেন।


সর্বশেষ সংবাদ