দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে ছাত্রলীগের মারধর, কারণ দর্শানোর নোটিশ

  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শুক্কুর আলমকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগকর্মী মোরশেদুল আলম রিফাতকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে এই নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১২টায় প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলো প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ডিসকু)। অভিযোগের ভিত্তিতে দুপুর ৩টায় প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে তিন কার্য দিবসের মধ্যে অভিযুক্ত মোরশেদুল আলম রিফাতকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

মারধরকারী মোরশেদুল আলম রিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। অপরদিকে মারধরের শিকার শুক্কুর আলম দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।

এর আগে গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে চবি সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়স্থ নুর আলম স্টোরের সামনে প্রতিবন্ধী শুক্কুর আলমকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি এবং অপারেশন করা চোখে আঘাত করে ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের এ কর্মী।

প্রতিবন্ধী শুক্কুর আলম জানান, উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় প্রথম পেছন থেকে লাথি মারার পর গালি দেয় তাকে। বিষয়টি প্রক্টর স্যারকে জানানো দরকার বলায় তার চোখে-মুখে কিল-ঘুষি মারতে থাকে রিফাত। পরে আহত শুক্কুর আলমকে তার সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

এ ঘটনায় রোববার রাত ৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে বিক্ষোভ করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্ত রিফাতকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রেক্ষিতে বিকেল তিনটায় প্রক্টরিয়াল বডি তিন কার্য দিবসের মধ্যে শোকজ নোটিশের বিষয়টি জানিয়েছে। তবে আমরা আগামীকাল আবারও কর্তৃপক্ষের নিকট যাবো। একদিনের মধ্যে তাকে গ্রেফতার না করা হলে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোরশেদুল আলম রিফাতের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাই তাকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও পুলিশকে বলে রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে দেখা মাত্র আটক করার জন্য।