ছাত্রলীগের মাংস ছাত্রলীগ খায়–বললেন কোপ খাওয়া ইডেন নেত্রী

  © টিডিসি ফটো

বহিরাগত এক মেয়েকে ইডেন কলেজের আবাসিক হলে রাখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক ছাত্রলীগ নেত্রীর চাকুর কোপে আরেক নেত্রীর হাত কেটে যায়। এছাড়া ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। শনিবার সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম মাহবুবা নাসরিন রুপা। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আর ভুক্তভোগী ও আহতের নাম সাবিকুন্নাহার তামান্না। তিনি ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য।

শনিবার রাতে কোপ খাওয়া ওই ছাত্রলীগের নেত্রী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কাক নাকি কাকের মাংস খায় না। কিন্তু ছাত্রলীগের মাংস ছাত্রলীগ খায়। বারবার প্রমাণিত’। তার এই স্ট্যাটাসে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। একজনে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘কোপায় চাঁদাবাজ আর কোপ খায় বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ’।

প্রসঙ্গত, ইডেন কলেজের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে নাবিলা নামে একজন বহিরাগত থাকতেন। তাকে হলে রাখা নিয়ে অনেকদিন যাবৎ সমস্যা হচ্ছিল। শনিবার ভোরে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুমানারা অনুর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা ওই হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে নাবিলাকে বের হয়ে যেতে বলে এবং তাকে হুমকি দেয়। অনুর অনুসারীদের একজন ছিলেন সাবিকুন্নাহার তামান্না। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির খবর পেয়ে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা দৌড়ে যান ২১৯ নম্বর কক্ষে। রুপা সেখানে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাবিকুন তামান্নাকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয় রুপা। পরে অন্যপক্ষ রুপার গ্রুপের কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা করে। এ ঘটনায় বহিরাগত নাবিলাকে লালবাগ থানায় হল প্রশাসনের মাধ্যমে সোপর্দ করা হয়। এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুপার রুম ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তাকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।