জাবিতে আন্দোলনরত দৃষ্টিশক্তিহীন শারমীনের ছবি ভাইরাল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম দুর্নীতি ও সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনে সামনে সহপাঠীদের হাতে হাত রেখে অংশ নিয়েছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শারমীন। শারমীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

একেবারেই আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা শারমীনের ছবি উঠে এসেছে ক্যামেরায়। এরপরই তার ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে। অনেকেই প্রশংসা করছেন তার।

মোহাম্মদ নাজিমুদ্দীন নামের একজন লিখেছেন, যাদের চোখ আছে কিন্তু সমাজের অন্যায় অবিচার দেখেও দেখেন না, প্রতিবাদ করেন না, সেই চোখ ওয়ালাদের চেয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী শারমিনের চোখ অনেক ভালো দেখে,স্পষ্ট করেই দেখে! সে জন্যই ভিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র-শিক্ষকের লড়াইয়ে শারমিন প্রতিবাদের প্রথম কাতারে। শারমিন চোখ ওয়ালাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন অসীম সাহসের। স্যালুট শারমিন!

শারমিন বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন আমাদের দীর্ঘ আড়াই মাসের। গত পরশুদিন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে। এরপর থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে আন্দোলনকে আরও জোরালো করি।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমাকে আন্দোলনে আসতে হয়েছে। আমার চোখে আলো নেই তবে আমার বিবেক জাগ্রত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি রক্ষায় আসা উচিত মনে হয়েছে তাই এসেছি। শারমিন বলেন, ভিসির পদত্যাগ ও দুর্নীতির বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই আন্দোলন ক্যাম্পাসকে বাঁচানোর আন্দোলন। আমাদের যে অনৈতিকভাবে হল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। অনতিবিলম্বে আমাদের হল গুলো খুলে দিতে হবে। আন্দোলনে আসার ক্ষেত্রে কেউ তাকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। তবে অনেকেই নিরুৎসাহিত করেছেন। তাদের কথা- তুমি তো চোখে দেখোনা আন্দোলনে তোমার কোন ক্ষতি হলে সেই দায় কে নেবে।

শারমিন বলেন, ছাত্রলীগের হামলার দিন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি হলে ছিলাম। হামলার কথা শুনে আমি আর বসে থাকতে পারিনি। চলে এসেছি আন্দোলনে। আমার পরিবার আন্দোলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি জানে। আমি এমন একটি পরিবারের মেয়ে যারা সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এসেছে।


সর্বশেষ সংবাদ