ববিতে বাঁধনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

  © টিডিসি ফটো

দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’র ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাঁধন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট। ‘দ্বাবিংশবর্ষ শেষে প্রতিজ্ঞা হোক, রক্তদানে দূর হবে মৃত্যুর শোক’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজিস সাদিক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উজ্জ্বল হোসেন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো. হাসনাত জামান ও ছাত্রউপদেষ্টাসহ বাঁধনকর্মীবৃন্দ। র‌্যালিটি ভিসি ভবনের সামনে দিয়ে এসে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে শেষ হয়।

র‍্যালি শেষে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য মাহেন্দ্রক্ষণ। আমাদের কাঙ্ক্ষিত একটি স্বপ্ন ছিল যা আজকে বাস্তবায়ন হতে চলেছে। বাঁধনের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে একটি আন্তর্জাতিক মানের ব্লাড ট্রান্সমিশন সেন্টার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই ট্রান্সমিশন সেন্টারের একটি সুবিধাজনক দিক হচ্ছে আমরা যখন ব্লাড দেই তখন রক্তের তিনটি কণিকায় ব্লাডের সাথে চলে যায়। কিন্তু আধুনিক ট্রান্সমিশন সেন্টারে রোগীর যে কণিকা লাগবে সেইটুকুই শরীর থেকে সরবরাহ করা যাবে। এতে বাকি কণিকাগুলো নষ্ট হবে না।

তিনি বলেন, এ ধরণের ট্রান্সমিশন সেন্টার বাংলাদেশের তিন/চারটা বেসরকারি হাসপাতালে আছে। তারা এটা করতে অনেক খরচ নেয়। এ ক্ষেত্রে বাঁধনের এই ট্রান্সমিশন সেন্টার শুধু টেকনিক্যাল খরচটা নিবে। মানুষ সুলভ মূল্য সেবা নিতে পারবে।

এ সময় তিনি বাঁধন, বাঁধন ববি ইউনিটের সাফল্য কামনা করে বাঁধন কর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে বাঁধন কর্মীদের বাঁধনের কর্মপন্থা-উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন বাঁধন ববি ইউনিটের ছাত্র উপদেষ্টা মুজাহিদুল ইসলাম তিমু ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ওয়াহিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের আজকের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।


সর্বশেষ সংবাদ