১১ অক্টোবর ২০১৯, ২০:২৯

খুবিতে টর্চার সেল, প্রতিবাদে তোলপাড় ক্যাম্পাস

প্রতীকী ছবি  © টিডিসি ফটো

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো। বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টর্চার সেল’ নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যালেন আরটিভি। আরটিভির তালিকায় আছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও ১১ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

আরটিভি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে টর্চার সেল শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ করে। প্রচারিত সংবাদে অন্যান্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে টর্চার সেল’ প্রসঙ্গে সংবাদ পরিবেশনকালে এক স্থানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হয়।

জানা যায়, ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের শুরু থেকেই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি ছিলো না। আজও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। বিগত ২৯ বছরে এখানে ছাত্রদের মধ্যে কোনো  সংঘর্ষ হয়নি বা এ ধরনের কোনো ঘটনায় কোনো ছাত্রের প্রাণহানি ঘটেনি বলে জানা যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে জড়িয়ে সংবাদের সমালোচনা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। স্ট্যাটাসে স্ট্যাটাসে নিউজের সমালোচনা করেন তারা। তাদের দাবি ছাত্ররাজনীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে ছাত্রলীগের ‘টর্চার সেল’ পাওয়া গেছে। আবার অনেকে টর্চার সেল দেখতে চেয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটিকে অনুরোধ করে স্ট্যাটাস দিচ্ছে।

তবে প্রচারিত সংবাদ প্রসঙ্গে আরটিভির খুলনা প্রতিনিধি জানান, এমন কোনো সংবাদ তিনি প্রেরণ করেননি।

খুবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য:

এদিকে, জনসংযোগ দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিউজের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্যাম্পাসের কোনো হলে টর্চার সেল আছে বলে কর্তৃপক্ষের জানা নেই। অধিকন্তু সাম্প্রতিককালে কোনো শিক্ষার্থী বা অন্য কোনো ক্ষেত্র থেকে এ ধরনের কোনো অভিযোগ/তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এমন একটি অনভিপ্রেত তথ্য প্রচার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি তা শিক্ষার্থী এবং জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া গেলে বা কেউ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য আরটিভিতে গুরুত্বের সাথে প্রচার এবং প্রচারিতব্য উক্ত সংবাদের স্থান থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।