দেখা না করে কুষ্টিয়া ছাড়লেন বুয়েট ভিসি

অবশেষে আবরারে পরিবারে সঙ্গে দেখা না করে কুষ্টিয়া ছাড়লেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। আজ বুধবার বিকাল ৫টার দিকে আবরারের কবর জিয়ারত করে তার শোকাহত আত্মীয় স্বজনকে দেখতে আবরারের বাড়ি দিকে রওনা দিলে গ্রামবাসী বাঁধা দেন।

তাদের দাবি, আবরারের লাশ না দেখে এখন দাফন হওয়ার ২৪ ঘন্টা পর কবর জিয়ারতে আসলেনে উপাচার্য। এছাড়া আবরারের হত্যাকারীদের বিচারের ক্ষেত্রেও উপাচার্য কোন পদেক্ষেপ নেননি। বরং হত্যাকারীদের আঁড়াল করতে বিভিন্ন নাটক সাজানোর চেষ্টাও হয় বলে জানায় তারা।

মূলত এইজন্য উত্তেজিত গ্রামবাসী উপাচার্যকে আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। আজ বুধবার বিকালে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বুয়েট উপাচার্যকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ ছাড়েন। এসময় নারী পুরুষ থেকে শিশু-বৃদ্ধরা পর্যন্ত প্রতিবাদ জানায়। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে  উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

‘আবরারের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’, ‘বিচার চাই চাই’ স্লোগানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায়। উত্তেজিত গ্রামবাসীর প্রতিবাদের মুখে উপাচার্যের সঙ্গে আসা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

এই রিপোর্ট রেখার সময় ৬টা পর্যন্ত উপাচার্য ও তার সফরসঙ্গীদের আবরারের বাড়িতে যেতে দেয়নি। এসময় উপাচার্য পথের অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এদিকে আবরারের ছোটভাইয়ের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের কথা কাটাকাটির খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থতি আরও উত্তেজনায় রূপ নেয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, গ্রামবাসীর বাঁধার মুখে উপাচার্য আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে কুষ্টিয়া ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়া দেন।

প্রসঙ্গত, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর আজ সকাল ১০টার দিকে তার বাড়ি কুষ্টিয়ার পথে রওনা দেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ও তার সফরসঙ্গীরা। সেখানে তারা আবরারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এ সফর।


সর্বশেষ সংবাদ