বশেমুরবিপ্রবি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আসছে

রৌদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে টানা চারদিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুনীর্তি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন ও অবস্থান করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এমনকি শিক্ষার্থীদের উপর ভিপিপন্থীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বশেমুরবিপ্রবির উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে সত্যানুসন্ধান করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সত্য অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করারও পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘তথ্য অনুসন্ধান করছে মন্ত্রণালয়। আমরা সত্যানুসন্ধানে তথ্য সংগ্রহ করছি। এখনও পূর্ণাঙ্গ তথ্য হাতে এসে পৌঁছায়নি।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতেছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ইতিবাচক ভাবেও দেখছেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও হচ্ছে বেশ জোরালোভাবে। ফলে যেকোন সময়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌছতে পারে মন্ত্রণালয়।

এর আগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. শাহগীর আলম এবং মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানিয়েছিলেন ঘটনা জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন উপমন্ত্রী।

এদিকে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন পর্যায়ে গুঞ্জন শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য নাসিরউদ্দিনকে অপসারণ করা হয়েছে। উপাচার্যকে অপসারণ করা হয়নি, গণমাধ্যমকর্মীরা তা নিশ্চিত হওয়ার পর ফের আলোচনায় আসে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন উপাচার্য। এরই এক পর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীরা নতুন করে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ-খবর শুরু করেন।

এসব বিষয়ে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আচার্যের সচিব এবং খোদ উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে উপাচার্য খোন্দকার মো. নাসির উদ্দিনকে অপসারণ করেননি রাষ্ট্রপতি ও আচার্য। আর উপাচার্য নিজেও রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেননি তা নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যমকে।


সর্বশেষ সংবাদ