চবিতে ছিনতাইকৃত মালামাল ফেরত চেয়ে আবেদন, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে ছিনতাই ও মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ দিয়েছেন। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর তার ছিনতাইকৃত মালামাল ফেরত চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত সাদাফ কবীর।

অভিযোগ দায়েরকৃত আহাম্মদ উল্লাহ রাব্বী হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮সেশনের শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষার্থী বলেন, গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক পৌঁনে ১০টার দিকে টিউশন থেকে ফেরার সময় আইন বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদাফ কবীরের নেতৃত্বে অর্থনীতি বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শাওন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রমজান হোসাইন, ইতিহাস বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাসেল ও একই শিক্ষাবর্ষের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের রিফাত ও মোহনসহ অজ্ঞাত আরও ৮-৯ জন কিছু ছাত্রলীগ কর্মী তার উপর আতর্কিত হামলা চালায় ও মানিব্যাগে থাকা ৩২৫৭ টাকাসহ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনতাই করে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে হামলাকারীরা সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মী পরিচয় দেন। এবং ছাত্রলীগের সভাপতির রেজাউল হক রুবেলের ভয় দেখিয়ে তার ছাত্রত্ব বাতিল ও প্রাণ নাশের হুমকির দেয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদাফ কবীর বলেন, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এসব করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রমজান হোসাইনের রুম ভাংচুরের ঘটনাকে অন্যদিকে ধাবিত করার পরিকল্পনা থেকেই বিজয় গ্রুপ এসব করছে। অথচ আমি এসবের কিছু জানিই না। যতটুকু জানি রাব্বি ছেলেটা বয়স্ক এক রিকশাওয়ালাকে ভাড়া নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় মারধর করছিলো। আমাদের জুনিয়র ছোট ভাই রমজান এটা দেখে ওকে জিজ্ঞেস করলে ও খারাপ আচরণ করে। তাই তাকে একটা চড় দেয়। এই ঘটনাকে সে এতবড় করছে। সে যদি এসব প্রমাণ করতে পারে আমি ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাবো। অন্যথায় মানহানীর মামলা করবো আমি।

এ বিষয়ে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা যদি প্রমাণ করে দেখাতে হয়। তাহলে আমি দেখাবো। তবে কেন এমনটা করা হয়েছে সেটা জানতে চাইলে আহম্মদ উল্লাহ রাব্বি বলেন, আমার নিজেরও একই প্রশ্ন। তাছাড়া ওরা রিকশা ওয়ালাকে মারধরের যেই অভিযোগ দিয়েছে, সেটাও ভিত্তিহীন। আমি বিজয় গ্রুপের কর্মি তাই হয়তো পলিটিকাল ভাবে বিষয়টা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যথায় আমি তাদেরকে খুব ভালোভাবে যে চিনি তাও কিন্তু না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগটি এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।


সর্বশেষ সংবাদ