‘উন্নয়নে বাধা দিয়ে টিকে থাকতে পারবেন না’

  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ ‘প্রশাসন, উপাচার্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘উন্নয়নে বাধা দিয়ে টিকে থাকতে পারবেননা’।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শিক্ষকরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহন করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষক পরিষদের সদস্য আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় অধ্যাপক আব্দুল মান্নান আরো বলেন,‘আমরা দেখেছি এর আগে আমাদের সকলের স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরির সময়ও একদল মানুষ এর বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নের্তৃত্বে আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। সেরকম আমাদের ক্যাম্পাসের উন্নয়নেও যতপ্রকার বাধাই আসুক তা ভিসির নের্তৃত্বে সম্পন্ন হবে। বাধা দিয়ে কেউ কখনো টিকতে পারেনি’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অসিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘মিথ্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে’।

সিইসি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ হানীফ আলী আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা যে ২ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা বলছেন তার প্রমান নিয়ে আসুন। প্রমান ছাড়া এমন কোন কথা বলবেন না যাতে উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ হয়’।

গণিত বিভাগের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ উন্নয়নের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়ে বলেন,‘আমরা সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করে তুলতে চাই। কিন্তু এখানে আবাসন সংকট, একাডেমিক ভবনের অভাব, ক্লাস রুমের সংকট। এত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। কিন্তু এখানে একটি গোষ্ঠী উন্নয়নে বাধা দিয়ে এটাকে রাজনীতি করার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করেছে।’

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী।

এদিকে মানববন্ধনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহন নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। জাবি শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘আমরাই জাহাঙ্গীরনগর’ এ কম্পিউটার এন্ড ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুবেল শেখ লিখেন, ‘ক্যাম্পাসে আন্দোলন হবে মানববন্ধন হবে ঠিক আছে। মেডিকেলের ভাইদেরও সেখানে যেতে হবে। অনেক রোগী এসে বসে আছে মেডিকেল ডাক্তার এর খোজ নেই। জিজ্ঞেস করে জানতেস পারলাম তারা মানববন্ধনে গিয়েছে। এটা আসলে কতটা যুক্তিযুক্ত, ঠিক বুঝলাম নাহ।

শোভন রহমান নামে একজন লিখেছে টিএসসির ফেসবুক পেজ কেন দলীয় প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত হবে।

অন্যদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীকে জোরপূর্বক মানববন্ধনে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহন করার জন্য প্রশাসনের বরাতে ক্যাম্পাসব্যাপী প্রচারণা চালানো হয়। প্রচারণায় সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধনে অংশ নিতে ‘নির্দেশ’ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ