বশেমুরবিপ্রবিতে অদৃশ্য কমনরুম ফি বছরে ১২ লাখ টাকা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

গোপালগন্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কোনো কেন্দ্রীয় কমনরুম না থাকলেও কমনরুম ফি হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ১২ লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত ডায়েরির তথ্যানুযায়ী আসন সংখ্যায় দেশের চতুর্থ বৃহত্তম এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। প্রতি সেমিস্টারে ভর্তি ফি এর সময় শিক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা করে বছরে মোট ১০০ টাকা নেয়া হয় কেন্দ্রীয় কমনরুম ফি হিসেবে।

সে হিসেবে এক বছরে কেন্দ্রীয় কমনরুম ফি দাড়ায় প্রায় ১২ লাখ টাকা। তবে কেন্দ্রীয় কমনরুমের অস্তিত্ব কেবলমাত্র টাকার রসিদেই সীমাবদ্ধ, বাস্তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কেন্দ্রীয় কমনরুমের অস্তিত্ব নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, "আমাদের প্রতি সেমিস্টারে ভর্তি হতে প্রায় ৪,৫০০ টাকা প্রদান করতে হয় যার মধ্যে কেন্দ্রীয় কমনরুমসহ অনেকগুলো খাতই অযৌক্তিক। দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য এসকল অতিরিক্ত ব্যয় বহন করা কষ্টসাধ্য কিন্তু আমাদের প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিবাদ করলেই বহিষ্কার অথবা একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়"

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "আমি চার বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করছি তবে এখন পর্যন্ত কোনো কমনরুম সুবিধা পাইনি"

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নুরুদ্দীন আহমেদ বলেন, "এ খাতে টাকা নেয়া হয় কিনা আমার সঠিক জানা নেই আর যদি এরূপ কোনো খাতে টাকা নেয়া হয় তবে সেটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই ব্যয় করা হয়"। তবে শিক্ষাথীদের কল্যাণ তহবিলের জন্য আলাদাভাবেই প্রতি সেমিস্টারে ১৫০ টাকা করে নেয়ার পরও কেনো কমনরুম ফি এর নামে টাকা আদায় করতে হবে এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি আবাসন সংকট, ক্লাসরুম সংকট, ল্যাবরুম সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এসকল সমস্যা নিয়ে কথা বললেই নেয়া হয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত যৌন হয়রানিকারী শিক্ষককে নিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস প্রদান, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ধানের ন্যায্যমূল্য দাবিসহ বিভিন্ন অযৌক্তিক কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাও নোটিশ প্রদান করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ