সেই সিদ্দিকের ফার্স্ট ক্লাস পাওয়ার নেপথ্যে মৌ

বামে সিদ্দিকের পাশে শ্রুতি লেখক মৌ
বামে সিদ্দিকের পাশে শ্রুতি লেখক মৌ  © টিডিসি ফটো

সাত কলেজের বৈষম্য নিরসনের আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের খুব কাছ থেকে ছোড়া টিয়ারশেলের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারান সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও থেমে যাননি তিনি। থার্ড ইয়ার থেকে তার সকল পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের দায়িত্ব পালন করেছেন কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌ।

চোখের আলো ছাড়াই শ্রুতি লেখক সাদিয়ার সহযোগিতায় তৃতীয় বর্ষে তিনি ৩.০৬ এবং শেষ বর্ষে ৩.০৩ পেয়েছেন। এছাড়া তার অনার্স সম্মানে সিজিপিএ ৩.০৭।

সিদ্দিকের শ্রুতি লেখক সাদিয়া আফরিন মৌ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, সিদ্দিক ভাইয়ের এক বন্ধুর ‘শ্রুতি লেখক চাই’ করা এক ফেসবুক পোস্টে আমি সাড়া দেই। সেখান থেকে ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়। তবে এটা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল বলা যায়। দিনশেষে সিদ্দিক ভাইয়ের ভালো সিজিপিএ আমার জন্য আনন্দের।

শ্রুতি লেখকের আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌ জানান, আমি মূলত পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনের সাথেও কাজ করছি। সামাজিক দায়বদ্ধতারও একটা ব্যাপার আছে। মানবিক দৃষ্টিকোণের যায়গা থেকেই আমি এগিয়ে এসেছি।

শ্রুতি লেখকের সহায়তায় সাফল্যের ব্যাপারে সিদ্দিক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখন মাস্টার্স করবেন তিনি। ইতোমধ্যেই কম্পিউটার ও ব্রেইল প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ করেছেন। এছাড়াও নিজ যোগ্যতায় হতে চান দেশের সর্বোচ্চ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডার।

বর্তমানে সিদ্দিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির টেলিফোন অপারেটর পদে কর্মরত রয়েছেন সিদ্দিক।

আরো পড়ুন:এমআইটি-হার্ভার্ডে একসঙ্গে চান্স, বৃত্তি পেলেন আড়াই কোটি টাকা