কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবর্ধনা

ইবি প্রশাসনের পথচলার তিন বছর

  © টিডিসি ফটো

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম একটি এজেন্ডা ছিল, এটিকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় করে গড়ে তোলা। যাতে করে এখানে দেশীয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীরাও পড়ালেখার সুযোগ পান।

কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা কারণে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠার লাভের পর অনেক উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনার হাল ধরলেও দৃশ্যমান তেমন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয়নি। এর ফলে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান হিসেবেও গড়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি।

২০১৬ সালে ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কলামিস্ট, লেখক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী (রাশিদ আসকারী)। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যেন ফিরে পায় তার নতুন যৌবন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং তার মূলমন্ত্র ধরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলাফল আজ অনেকটা দৃশ্যমান।

এর মধ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ৪র্থ সমাবর্তন আয়োজন, ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তায় পুরো ক্যাম্পাস পিটিজেট সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন, ৫৯টি বিভাগ সম্বলিত অর্গানোগ্রাম পাশ, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর, অবকাঠামোগত উন্নয়নে নতুন ৬টি ভবন নির্মাণ ও একনেক সভা কর্তৃক ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট অনুমোদন উল্লেখযোগ্য।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের প্রত্যয়ে চলা বর্তমান প্রশাসনের বুধবার (২১ আগস্ট) তিন বছরপূর্তি হয়েছে। তিন বছরপূর্তিতে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বর্তমান প্রশাসনকে (উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ) সংবর্ধনা প্রদান দেওয়া হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফসহ বিভিন্ন অফিসের প্রধান ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘২০১৬ সালের এই দিন দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমি দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা। কোন এজেন্ডা নয়, বরং সকলকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।’


সর্বশেষ সংবাদ