তিতুমীরে যৌন হয়রানি রোধে বিতর্কক্লাবের ‘বিগ্রেড ইউনিট’

  © টিডিসি ফটো

বর্তমান সময়ে দেশে যৌন হয়রানি বা ইভটিজিং অন্যতম ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। পথ-ঘাট, শপিং মলসহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে যৌন হয়রানির প্রভাব। এসব সামাজিক ব্যাধি রোধে সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্কক্লাব তাদের সংগঠনের উদ্যোগে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ‘জিটিসি-ডিসি প্রীতিলতা ইভটিজিং প্রতিরোধ বিগ্রেড’ নামে আলাদা ইউনিট গঠন করেছে।

বিগ্রেড ইউনিটের প্রধান উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাব (জিটিসি-ডিসি) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব হাসান রিপন৷ উপদেষ্টা মো. জাবেদ ইকবাল (সিনিয়র সহ-সভাপতি, জিটিসি-ডিসি), মো. হাসনাইন (সাধারণ সম্পাদক, জিটিসি-ডিসি), সমন্বয়কারী- আমান আহমেদ দুর্জয় (সদস্য, জিটিসি-ডিসি), সহ-সমন্বয়কারী- মাকসুদুর রহমান অলি (কোষাধ্যক্ষ, জিটিসি-ডিসি)।

এছাড়া সদস্য- মির্জা রাকিব (পাঠচক্র, কুইজ ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক (জিটিসি-ডিসি), ফয়সাল আহমেদ ফাহিম (কার্যনির্বাহী সদস্য, জিটিসি-ডিসি) তানজিব সারোয়ার (সহ-সমন্বয়কারী, শহিদুল্লাহ অনুষদ, জিটিসি-ডিসি) এস আই সাইম (সহ-সমন্বয়কারী, শহিদুল্লাহ অনুষদ, জিটিসি-ডিসি) সাবরিনা ইয়াসমিন দিনা (চূড়ান্ত সদস্য, জিটিসি-ডিসি), মো. তসলিম হোসেন (সদস্য, জিটিসি-ডিসি)।

বিগ্রেড ইউনিটের প্রধান উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক মাহাবুব হাসান রিপন বলেন, বিতর্ক ক্লাব প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে আমাদের দুজন মেয়ে সদস্য ক্লাবে যোগদান করে। তখন তাঁদের গেটের সামনে বিভিন্নভাবে কিছু ছেলে বিরক্ত করতো। তখন তাঁদের আমরা নিরাপত্তা দিতে পারতাম না। ক্লাব এখন অনেক বড় হয়েছে। যারা ক্লাবে আছেন কিংবা নেই সবার কথা ভেবে আমরা ইভটিজিং প্রতিরোধ বিগ্রেড গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিই।

তিনি বলেন, এই বিগ্রেডের কাজ হবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা। যারা এই কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছে তাদের প্রতিরোধ করা এবং প্রয়োজনে কাউন্সিল করা। সংগঠনটি তাদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে যৌন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে চায় বলেও জানান তিনি।

নেতৃবৃন্দ।

এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুমাইয়া বলেন, আমাদের কলেজের বিতর্ক ক্লাবের এমন উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। এর মাধ্যমে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানি থেকে মুক্তি পাব বলে আশাবাদী। এবং এটা যদি সকল প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র ভাবে করা হয় তবে পুরো দেশ যৌন হয়রানি মুক্ত হলেও হতে পারে।

যৌন হয়রানির সামাজিক ব্যাধি যাতে সরকারি তিতুমীর কলেজকে প্রভাবিত করতে না পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ করবে ইউনিটের সদস্যরা। তারা সচেতনতা তৈরিতে এবং কাউন্সিলিং করার মাধ্যমে বিষয়গুলোকে পরিত্রাণ করার কথা জানিয়েছেন ইউনিটের দায়িত্বশীলরা।


সর্বশেষ সংবাদ