বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

আন্দোলনরত কর্মচারীদের উপর শিক্ষার্থীদের হামলা

  © টিডিসি ফটো

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আন্দোলনরত কর্মচারীদের উপর প্রশাসনের ছত্রছায়ায় হামলা চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। হামলার সময় প্রশাসনিক ভবনে কর্মচারীদের লাগানো তালা ভেঙ্গে ফেলে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন ও ৪৪ মাসের বকেয়া পরিশোধের দাবিতে টানা ৩য় দিনের মত কর্মবিরতি এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনরত কর্মচারীরা। এতে বিপাকে পড়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। স্থবির হয়ে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম।

প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানোর কারণে সকাল থেকেই শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ অফিসিয়াল কোনো কাজ করতে পারছিলেন না এবং শিক্ষার্থীরা সনদ উত্তোলন ও মেডিকেল সাহায্য নিতে পারছিল না। তাই কতিপয় শিক্ষার্থী উত্তেজিত হয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান সেলিম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাফিউল আযম, সহকারী প্রক্টর আতিউর রহমান, সদরুল ইসলাম সরকার, সোহেলা মোস্তারী, উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফা, জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজুম মুনিরা প্রমুখ।

কর্মচারীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা এ হামলার পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তাবিউর রহমান কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন এবং হামলা করার হুকুম দেন। পরে তার আদেশক্রমে মাহফুজ আহমেদ, জসিম উদ্দীন, সাজ্জাদ, আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল, পঙ্কজ কুমার ঘোষ, মুশফিক, অর্পন, ফয়সাল, সাব্বির, রবীন্দ্রনাথ, হাসান সৃজন, মৃত্যুঞ্জয়, আহসানসহ আর ৩০/৪০ জন শিক্ষার্থী মিলে একযোগে কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। এসময় রবীন্দ্রনাথ নামের ওই শিক্ষার্থী হাতুরি দিয়ে তালা ভেঙ্গে ফেলে।

কর্মচারী আন্দোলন

কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা পরিকল্পিতভাবে কর্মচারীদের উপর হামলা চালান। এতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হয়। যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামলার পরিকল্পনাকারী, হুকুমদাতা ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

হামলার ঘটনার হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানোর কারণে শিক্ষার্থীরা সনদ উত্তোলন করতে পারছিল না। তাই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তালা ভেঙ্গে পেলেছে। এসময় প্রশাসন তাদের পক্ষে ছিল।