নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ

  © সংগৃহীত

মঙ্গলবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন এন্ড কমিউনিকেশন ল্যাবে খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনে পিএইচডি ফেলোর ফলাফল উপস্থাপন করা হয় (থিসিস ডিফেন্স ও ওরাল)। এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের তিনজন পিএইচডি গবেষক তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন।

গবেষক অসীত বরণ মন্ডল ‘ডিভেলপমেন্ট অব সুইটেবল মডেল ফর ফ্লোটিং বেড ভেজিটেবল প্রডাকশন’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের ওপর উপস্থপনায় ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে চাষযোগ্য জমির অভাব দেখা দিলে বা কোনো সাময়িক বন্যা, ঝড়, সাইক্লোন বা জলাবদ্ধতার কারণে চাষ করা না গেলে এক মাস থেকে তিন মাসের মধ্যে মাটি ছাড়াই বিকল্প জমি ছাড়াই ফ্লটিং বেড়ে কীভাবে ফসল উৎপাদন করা যায় বা যাবে সে কৌশল বর্ণনা করে।তাঁর গবেষণার এলাকা ছিলো গোপালগঞ্জের তিনটি উপজেলা।

আরেক গবেষক মো. আব্দুল হান্নান। তাঁর গবেষণার শিরোনাম ছিলো ‘ইমপ্যাক্ট অব বায়োসিকিউরিটি প্রাকটিস অন কমার্শিয়াল চিকেন রিয়ারিং ইন দ্য সাউথ-ওয়েস্টার্ন রিজিওন অব বাংলাদেশ’। তিনি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এলাকায় পোল্ট্রি নিয়ে কাজ করতে যেয়ে দেখতে পান বায়োসিকিউরিটি যেখানে মেনে চলা হচ্ছে সেখানে উৎপাদন বেশি এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের হারও বেশি।

তিনি নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তায় পোল্ট্রি শিল্পে বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিত করার ওপর তাগিদ দিয়ে সুপারিশ করেন মানসম্মত ও নিরাপদ পোল্ট্রি কার্যক্রমে নিয়োজিতদের অব্যাহত প্রশিক্ষণ, মানসম্মত পোল্ট্রি ফিড ও খামার ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রোথ হরমন, ভিটামিন ও অন্যান্য এন্টিবায়োটিকের অপরিমত ব্যবহার মানব দেহের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলেও উপস্থিত বিশেষজ্ঞবৃন্দ মনে করেন।

সবশেষে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনা করেন গবেষক মো. মোকতার হোসেন। তার গবেষণার শিরোনাম ছিলো ‘ডিজাস্টার কোপিং স্ট্রাটিজিস এডপ্ট বাই দ্য পিপল ইন সাউথ-ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ’। এখানে গবেষক সাতক্ষীরার তিনটি ওপজেলার ওপর গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। তিনি দেখান যে দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি বহুলাংশে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং প্রতিকূল পরিবেশে অভিযোজন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করেছে।

পিএইচডি গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনার জন্য গবেষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপস্থিত দেশি-বিদেশি এক্সপার্টবৃন্দের অভিমত ও পর্যবেক্ষণ গবেষণার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি।

বিশেষজ্ঞবৃন্দ বলেন, খাদ্য উৎপাদনে সকল সেক্টরে আমরা স্বয়ম্ভর হয়ে উঠলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাটাই এখন জাতির সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ।

পিএইচডি পর্বের এ তিনিটি গবেষণাকর্মের সুপারভাইজার এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহম্মেদ গবেষণার অভীষ্ট লক্ষ্যের ওপর আলোকপাত করেন। বিশেষজ্ঞবৃন্দ সংশ্লিষ্ট গবেষণাকর্মের ফলাফলের বিভিন্ন দিকে পর্যবেক্ষণ প্রদান এবং অভিমত ব্যক্ত করেন।


সর্বশেষ সংবাদ