আমরা চাকরি চাই, অবসর নয়

  © সংগৃহীত

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, লাখ লাখ শিক্ষার্থী প্রাণের দাবি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে গত আট বছর যাবত আন্দোলন করে আসছে; কিন্তু তার সুফল পায়নি। উল্টো অনেক যুক্তি উপস্থাপন করে আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘৩৫ বছরে চাকরিতে যোগদান করলে তাড়াতাড়ি অবসরে যাব। এ সব যুক্তি না দিখেয়ে আমাদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমরা চাকরি চাই। অবসর নয়।’

৩৫ বছরে চাকরি প্রবেশ করলে অবসরের সময়ও বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান বিশ্বের ১৯৫ টি দেশের মধ্যে ১৬২টি বেশি দেশে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বা তদুর্ধ। আর অনেক দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নেই।

তারা বলেন, ২০১২ সালের সরকারি চাকরিতে অবসর বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু তার প্রেক্ষিতে সরকারি আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি। যার ফলে প্রতিবছর সরকারি চাকরিতে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়নি । এই কারণে শিক্ষার্থীরা দুই বছর পিছিয়ে যায়। তখন সরকারি যুক্তি দিয়েছিল যে এখন গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।

তাহলে প্রশ্ন শুধু কি সরকারি চাকরিজীবীদের বৃদ্ধি পেয়েছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের বৃদ্ধি পায়নি? তাছাড়া ২০০১ সালে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য স্নাতক ডিগ্রী ২ বছর থেকে তিন বছর এবং সম্মান ডিগ্রি তিন বছর থেকে চার বছর করা হয়। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করা হয়নি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সরকারি নীতি অনুসরণ করার ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ৩০ উর্দ্ধদের নিয়োগ দেয়া না। সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩.১১ অনুচ্ছেদের অঙ্গীকার করে কিন্তু প্রায় এক বছর হয়ে গেছে তার কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি।

আন্দোলনকারীরা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ আট বছর যাবত এই দাবি সরকারের কাছে পেশ করলেও সরকার কেন এখনো আমাদের এই দাবিটি কেন মানছে না তা আমাদের বোধগম্য নয় । আমাদের শিক্ষা জীবনে অনার্স মাস্টার্স মিলিয়ে প্রায় ৩৫ বছর দেশের বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের মাস্টার্স ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। চাকরিতে বয়স ৩৫ না থাকার কারণে বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা একাডেমিক পড়াশোনার মনোযোগী না হয়ে শুধুমাত্র চাকরি নামক প্রতিযোগিতার জন্য পড়াশোনা করছে। যার ফলে মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন হচ্ছে না।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের সমন্বয়ক ইমতিয়াজ হোসেন, সঞ্জয় দাস, এমএ আলী বিজিত শিকদার, ফাতিন ইলাহী, বেলাল হোসেন ফয়সাল আহমেদ, কামরুজ্জামান রিন্টু, নাসরিন সুমি, মাজরুক রাসেল, ইব্রাহিম খলিল, সানিয়া চৌধুরী, শাহিন, নাসির,শারমিন সুলতানা, কাওছার, সোহাগ, শাপলা, ইমরান, রনি রূপাই শফি, খান রাসেল, ফিয়াদ, কামাল, ফরহাদ, দূর্গা, আসমাউল, দোলা, সজল হাওলাদার প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ