সিফাত-শিপ্রার মুক্তি চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল

পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থেকে গ্রেপ্তার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থী ও চলচ্চিত্রকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং শিপ্রা দেবনাথকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

আজ রোববার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোক্তাধির হোসেন তরু এবং সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন জিমির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে দুই শিক্ষার্থীর মুক্তি ছাড়াও অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে- মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, ওই দুই শিক্ষার্থীকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি, দুই শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারকে সামাজিকভাবে নিরাপত্তা প্রদান। এছাড়াও শনিবার বরগুনায় সিফাতের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মোক্তাধির হোসেন তরু বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যার ঘটনায় সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী হলেন সিফাত। এ জন্য তার জীবননাশের আশঙ্কা বেশি করছেন। অতিদ্রুত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের দুই সন্তানের মুক্তি ও জীবনের নিরাপত্তায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।

বিবৃতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন জিমি বলেন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থী সিফাত-শিপ্রাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। মেজর (অব.) সিনহা হত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার দাবি করছি। দেশের এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে গত কয়েক বছরে বিরোধী দল মতের অনেককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, এখনো অনেকে গুম আছেন কিন্তু কোন হত্যা কিংবা গুমের বিচার হয়নি। এই সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে মেজর (অব.) সিনহা ও সাহেদুল টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদুলকে। তিনি ও শিপ্রা দেবনাথ দুটি আলাদা মামলায় এখন কারাগারে।


সর্বশেষ সংবাদ