আন্দোলনকারীদের অবুঝ শিক্ষার্থী বললেন আইআইইউসি উপাচার্য

  © ফাইল ফটো

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম ও প্রথা বিরোধী শিক্ষার্থীদের ‘গুটিকয়েক’ উল্লেখ করে তাদের অবুঝ শিক্ষার্থী বলে অবহিত করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর উপাচার্য অধ্যাপক কে. এম. গোলাম মহিউদ্দিন। তাদেরকে বোঝানোর দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিতে হবে বলেও এসময় তিনি মন্তব্য করেছেন।

আজ রবিবার আইআইইউসিতে মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে শিক্ষকদের করণীয় সম্পর্কে এক অনলাইন সভায় দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। উপাচার্য এমন সময়ে এ মন্তব্যটি করেছেন যখন শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও গতিশীল রাখার জন্য শিক্ষকগণই হচ্ছে আসল প্রাণশক্তি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে সবার সুনজর এবং সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তাদের শিক্ষাজীবন সচল রাখার ক্ষেত্রে কোন অন্যায়ের সাথে আপোস করা হবেনা। তিনি আরও বলেন, যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম ও প্রথা বিরোধী গুটিকয়েক অবুঝ শিক্ষার্থী থাকে। তাদেরকে বোঝানোর দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে।

আইআইইউসি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজাদীর সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে আইআইইউসি’র ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, সেন্টার পরিচালক, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, প্রোগ্রাম সমন্বয়ক, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ ১৭০ জন অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আরও বলেন, করোনাকালের এই অস্থিতিশীল অবস্থায়ও আইআইইউসি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে এটাই আনন্দের বিষয়। শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ও সচল রাখার জন্য আমাদের সরার প্রাণন্তকর চেষ্টা রয়েছে।

তিনি বলেন, মহামারী করোনাকালের কথা বিবেচনা করে টিউশন ফি’র উপর ২০ শতাংশ ওয়েভার দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে আইআইইউসি সর্বোচ্চ ওয়েভার দিয়েছে। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ওপর, সিবলিংস, সেমিস্টারের ফলাফলের ওপর, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, অতি দরিদ্র কোটা, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স সম্পন্ন করে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার সময় এবং ব্যাংকের চাকরিজীবীরা ভর্তির সময় আইআইইউসি পঁচিশ শতাংশ থেকে শতভাগ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।

এ প্রসঙ্গে প্রফেসর কে. এম গোলাম মহিউদ্দিন এই করোনাকালেও আইআইইউসি’র একাডেমিক অর্জন আছে উল্লেখ করে বলেন, গবেষণামূলক প্রকাশনায় এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে তৃতীয় এবং অনলাইন ক্লাসের জন্যেও এ বিডিরেন র‌্যাংকিংয়ে তৃতীয় হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইআইইউসি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, নেতিবাচকতা পরিহার করে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি করোনার ক্রান্তিকালে শারীরিক উপস্থিতির পাশাপাশি শিক্ষকদের মত সুনির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তসহ সকল কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের সমন্বয়ের স্বার্থে সবসময় অনলাইনে থাকার আহবান জানান।


সর্বশেষ সংবাদ