ডিআইইউ: অনলাইনে স্প্রিং সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা ১৫ মে শুরু

  © ফাইল ফটো

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সেশনজটসহ নানাবিধ সমস্যা এড়াতে শর্ত সাপেক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) একটি গাইডলাইন দিয়েছে। 

তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস চলছে। এদিকে, আগামী ১৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে অনলাইনে স্প্রিং সেমিস্টারের (জানুয়ারি-এপ্রিল) ফাইনাল পরীক্ষা। মঙ্গলবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচা‌র্য অধ্যাপক ড. কে এম মোহসিন জরুরী এক অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপাচা‌র্য অধ্যাপক ড. কে এম মোহসিন বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সকল নিয়ম মেনেই আমাদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

অনলাইন পরীক্ষার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শাহ আলম চৌধুরী বলেন, দেশের এই ক্রমবর্ধমান সংকটকে বাঁধা হিসেবে না নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের সেশনজটের কথা মাথায় রেখেই অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি।

অনলাইন পরীক্ষার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের আতংক এখন সারা বিশ্বেই বিরাজ করছে। বৈশ্বিক এই সংকট এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসির থেকে একটা ইতিবাচক নির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটে না পড়ে সেজন্যই অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।

তিনি বলেন, অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে সকল শিক্ষকরা একমত হয়েছেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও বেশ ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রযুক্তির সফল ব্যবহারে বহির্বিশ্বে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে। আমরাও সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে সেশনজট ও পরীক্ষাজটমুক্ত রাখতে চাই।

ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের জীবন থেকে যাতে মূল্যবান সময় নষ্ট না হয় এবং নির্ধারিত সময়েই যাতে তাদের কোর্স সম্পন্ন করতে পারে। সেজন্যই অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরাও আমাদের সাথে একমত হয়েছে এবং তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। আশা করছি অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে থাকবে৷

অনলাইন পরীক্ষার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, সমগ্র বিশ্বের মত আমাদের দেশও কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত। সে কারণে আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছিল, এ জন্য সেশনজটে পড়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এই সেশনজট এড়াতেই আমরা অনলাইন পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এতে সেশনজট এড়ানো যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ