সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকবে ডিআইইউ

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (এমপি) বলেছেন, সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান করে নিবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ভাষার শুদ্ধ চর্চার মাধ্যমে বাঙালির জাতিগত মর্যাদাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসকে নিরপেক্ষ ভাবে জানতে হবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে জানাতে হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গৌরবের অতীত।

শুক্রবার (২৮ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয় এলিট ইংলিশ ক্লাবের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাতারকুল স্থায়ী ক্যাম্পাস) অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এলিট ইংলিশ ক্লাবের সভাপতি মাসুদ পারভেজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মু. ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (এম. পি) এবং উপাচার্য ড. কে এম মোহসিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ভাষা শহীদদের স্মরণে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুল কাদির পাটোয়ারী। এলিট ইংলিশ ক্লাবের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

বায়ান্নর ভাষা শহীদদের স্মরণে এলিট ইংলিশ ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা আতিকুর রহমান বলেন, একটি জাতির চেতনাকে পরিপূর্ণ করতে ভাষার ভূমিকা বর্ণনাতীত। বাঙালি জাতির সার্বিক ইতিহাসকে তুলে ধরার লক্ষ্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, মুজিবের জন্মই বাংলাদেশের জন্মের লক্ষ্যে।

ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা ভাষাকে কিনেছে, কিনেছে একটি প্রতিশ্রুতি। পেয়েছি একটি লাল-সবুজের পতাকা। এই প্রতিশ্রুতিকে রক্ষা করতে আমাদের সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সাবেক চেয়ারম্যান তাহমিনা সুলতানা বলেন, বাংলা ভাষাকে আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে। মুজিব বর্ষে আমাদের শপথ হোক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রকৃত বাঙালি হওয়ার। ভাষার সংমিশ্রণ নয়, চাই বিশুদ্ধ উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাঙালির ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে।

সেন্টার ফর এক্সিলেন্স এন্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের পরিচালক এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, ভাষার বিকৃতি হতে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। জানতে হবে প্রকৃত বাংলা। লাখো শহীদদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অর্জিত ভাষার অপভ্রংশ রোধ করতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। জানতে এবং জানাতে হবে জাতির সার্বিক ইতিহাস।

ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিলি রহমান তার বক্তৃতায় তুলে ধরেন ইতিহাসের জানা-অজানা সব তথ্য। তিনি বলেন, সাহিত্য জীবনের কথা বলে আর জীবনের এই কথোপকথনের একমাত্র মাধ্যমই ভাষা। তাই জাতি হিসেবে বাঙালির এই অস্তিত্বের ইতিহাসকে পৌঁছে দিতে হবে নতুন সম্ভাবনার এই প্রজন্মের কাছে।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইতিহাসবিদ ড. কে এম মোহসিন বলেন, ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের সকলের৷ জাতির ক্রান্তিলগ্নে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়ে গিয়েছেন শ্রেষ্ঠ মানুষগুলো। তাদের এই আত্মত্যাগের ইতিহাসকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হতে প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে৷

এছাড়া পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল এলিট ইংলিশ ক্লাবের পরিবেশনায় একক আবৃত্তি, বানান শুদ্ধিকরণ, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং একক ও দ্বৈত নৃত্য।

ক্লাবের উপদেষ্টা আনিসুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ভাষা শহীদদের স্মরণে আমরা প্রতিবছরই এমন আয়োজন করে থাকি। শিক্ষার্থীদের মাঝে একুশের চেতনা উজ্জীবিত করতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।


সর্বশেষ সংবাদ