১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:১২

পিঠা উৎসবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডি.আই.ইউ) ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস (সাতারকুল,বাড্ডা) একাডেমিক ভবনের সামনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক কে এম মোহসিন উদ্দীন এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (এম পি) অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, একাডেমিক ভবনের সামনে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষর্থীরা। পিঠা উৎসবে ৬ টি স্টল রয়েছে। বাহারি নামের পিঠাগুলো শিক্ষার্থীরা ভিড় করে খেতে আসছে। বাহারি নাম রয়েছে স্টলগুলোর- "খাও পিঠা হও মিঠা, বাঙ্গালীর পিঠা ঘর,বাসন্তী পিঠা ঘর, আগুন লাগে কেন ভায়া নাম সহ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সোমালিয়ান ট্রাডিশন নামের পিঠার স্টল । দেশীয় সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে তারাও মেতে উঠেছে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবে। পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে, দুধপুলি পিঠা, গাজরের হালুয়ায় ডিমপুর, গোলাপ ঝাল-মিষ্টি, সূর্যমুখী, পাকান পিঠা, শামুক পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসে ভরা সবজি পিঠা, পাটি সাপটা, খিরপুলি প্রভৃতি। ফার্মেসী বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল আলম বলেন, আমার স্টলে ১৩-১৪ রকমের পিঠা আছে। ১০ থেকে শুরু করে ৩০ টাকা পর্যন্ত এক একটি পিঠা বিক্রি করা হয়েছে,দেশীয় ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রয়াসে তাদের এই মনমুগ্ধকর আয়োজন। পিঠা উৎসবে আসা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাপতিলা বলেন, এ শীতে মায়ের হাতের পিঠা খুব মিস করছি। ক্যাম্পাসে বসে শীতের পিঠা উৎসবের আয়োজন করার জন্য ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। পিঠা উৎসবে ঘুরতে আসা ইকবাল হোসেন ইকু জানান- মনে প্রাণে বাঙ্গালী আমি, ভালো লাগে যখন হাজার পশ্চিমা সংস্কৃতির বেড়াজাল ভেদ করে বাঙ্গালীর প্রাণের এই উৎসবে আসতে পারি।

পিঠা উৎসবে সমাপনী আলোচনায় ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা সুলতানা এবং সহযোগী অধ্যাপক মিলি রহমান উপস্থিত ছিলেন। ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিসুর রহমান ( ডিরেক্টর সেন্টার ফর এক্সিলেন্স এন্ড ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান - গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ এবং সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে আমাদের এ আয়োজন। আমরা প্রতিবছর এই ধরনের আয়োজন করি।