১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৩২

বসন্তকে বরণ করে নিতে ইডিইউ’র শিক্ষার্থীরা

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে বসন্তবরণ উৎসবে পালাগানে নাচের একটি দৃশ্য  © টিডিসি ফটো

‘কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান/বসন্ত এসে গেছে’ গানের সুরে সুরে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে উৎসবে মেতেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

আলপনা ও রঙ-বেরঙের অরিগ্যামিতে সাজানো ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই ছিলো উৎসবের আমেজ। পাহাড় ও গাছগাছালিতে ভরা ইডিইউ ক্যাম্পাসেও লেগেছিলো বসন্তের ছোঁয়া। মুকুলে ছেয়েছে আমের গাছ, শিমুলের ডাল ভরে উঠেছে রাঙা ফুলে। বাসন্তি হাওয়ায় দুলে উঠছিলো ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণের বাহারি ফুল। এরই মাঝে সারাদিন মাতিয়ে রেখেছিলো বসন্ত মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রকৃতির মতো বাসন্তি সাজে সেজে এসেছিলো ইডিইউর সকলেই।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় শুরু হয় মেলা। শিক্ষার্থীরা নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে স্টল নিয়ে বসে মেলায়। এতে ছিলো বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্প, পিঠাসহ নানা পদের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও কাপড়। এছাড়া নাগরদোলা, দুলন্ত নৌকা, বেলুন ফোটানো ও রিং নিক্ষেপেরও আয়োজন ছিলো। যেন এক গ্রামীণ আড়ঙেই রূপ নেয় ইডিইউর এ মেলাটি।

এছাড়া গানে, নাচে, নাটক, পালাগান আর আবৃত্তিসহ আরো হরেক রকমের বিচিত্র আয়োজনে সারাদিনই মেতে ছিলো সবাই। ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থীরা একই মঞ্চে, একই সঙ্গে অংশ নিয়েছে নানা কার্যক্রমে। সকলেই কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে, সুরে সুর মিলিয়ে গেয়ে ওঠে, ‘আহা আজি এ বসন্তে, কত ফুল ফোটে, কত বাঁশি বাজে, কত পাখি গায়, আহা আজি এ বসন্তে।’ সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার সাথে সাথে ভাঙে এই মেলা, শেষ হয় বৈচিত্র্যময়তায় পূর্ণ এই আয়োজনের।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। তিনি বলেন, ফাগুন মানেই পলাশ, শিমুল, দখিনা হাওয়া, ফাগুন মানেই হৃদয় রঙিন, ফাগুন মানেই কোকিলের কুহুতান। তাই, ফুল ফুটুক কিংবা না ফুটুক, আজ বসন্ত।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বসন্ত উৎসব মূলত জীবনে নতুনকে বরণ করে নেয়ার উৎসব। জীবন ও যাপনে নতুনত্ব আনাই হলো এই উৎসবের অন্তর্নিহিত অর্থ। জাতি হিসেবে নিজেদের মৌলিকত্ব ধরে রাখতে আমাদের ঐতিহ্যকে আরো নিবিড়ভাবে আকড়ে ধরতে হবে। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির যাবতীয় কার্যক্রমে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া, তেমনই রয়েছে আমাদের ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের স্পর্শ।

প্রভাষক সাবরিন সরওয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিলো ইডিইউ লিটারেরি ক্লাব ও কালচারাল ক্লাব।