ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাফল্য

সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থী সিটি ব্যাংকের নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এ সাফল্যে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে ৬ আগস্ট দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ওয়াক ইন ইন্টারভিউ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশগ্রহণ করেন সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩ শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থী। দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব রিক্রুটমেন্ট মিসেস শায়লা পারভীনসহ উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (হেড অব ব্র্যাঞ্চেস), দেবাশীষ শ্যাম (ম্যানেজার, ঢাকা দক্ষিণ ব্রাঞ্চ) এবং আরপন কুমার (ম্যানেজার, রিক্রুটমেন্ট প্রসেস)।

প্রাথমিকভাবে লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ত্রিশ জন নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে লিখিত এবং ভাইবা পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৫ জন নিয়োগ পত্র পেয়েছেন। তাদেরই একজন মাহফুজা ইসলাম মুনা। মুনা বিবিএ এবং এমবিএ উভয় প্রোগ্রামে তার ব্যাচে প্রথম স্থান অধিকার করেন। কিছুদিন আগে তার বাবা মৃত্যু বরণ করেন। কিন্তু মুনা তার সাহসিকতা এবং মেধার সঠিক ব্যবহার করে প্রায় তিন শতাধিক নিয়োগ প্রার্থী যারা কিনা সবাই দি সিটি ব্যাংকের জন্য উপযুক্ত ছিলো, তাদের মধ্যে নিজেকে সুদৃঢ় করেছে।

ড. সৈয়দ রাগীব আলী মুনাকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রেরণা প্রদান করেন। তিনি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সফলতার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে মুনার সফলতাকে সকল শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল বলে আখ্যায়িত করেন এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সর্বাঙ্গীন সফলতার একটা উদাহরণ হিসেবে মুনাকে আখ্যা দিলেন। তিনি শিক্ষকদের গবেষণার জন্য এবং উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য তার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী এ সময়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকান্ডের জন্য বিভাগের সকল শিক্ষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষনায় আরো আগ্রহী হবার পরামর্শ প্রদান করেন।

ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ওয়াহিদুজ্জামান খানসহ বিভাগের শিক্ষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ড. ওয়াহিদুজ্জামান খান এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যেদিন আমরা শতভাগ শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারের পাথেয় হবো সেদিন না আসা পর্যন্ত আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের সকল কর্মকর্তাদের এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


সর্বশেষ সংবাদ