আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য ড. আমানউল্লাহ

  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মো. আমানুল্লাহ। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবদুল গফুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাজী শরিফুল আলমের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত উপাচার্য যোগদান না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ’ অধ্যাপক মো. আমানউল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের অন্যান্য দাবি নিয়মিত উপাচার্য যোগদানের পর বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।

এর আগে শিক্ষার্থীদের ধারাবহিক আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য’ অধ্যাপক ড. কাজী শরিফুল আলম।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত হিসাবে পদে আসার পর থেকে নানা রকম ‘স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত’ নিয়ে আসছেন উপাচার্য। উপাচার্য পদে ভারপ্রাপ্ত থাকাবস্থায় উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষসহ পাঁচটি পদে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে রয়েছেন তিনি। উপাচার্যের পদত্যাগের পাশাপাশি তার সময়ে নেওয়া সব প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিও করছেন তারা।

নয় দফা দাবিতে সোমবারই বিক্ষোভ দেখিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এরপর মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১. ভিসিকে প্রশাসনিক সব পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি দায়িত্বরত অবস্থায় নেয়া সব প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

২. বর্তমান ভিসির জন্য যে ১০ জন সিনিয়র ফ্যাকাল্টিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

৩. সেমিস্টার ফি বাবদ যে অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা কী খাতে ব্যয় হচ্ছে তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

৪. ক্লিয়ারেন্সে টাকা দেয়ার নতুন নিয়ম বাতিল ও ক্যারি ক্লিয়ারেন্সে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৩ করতে হবে।

৫. ইউনিভার্সিটিতে অ‌্যালাইমনাই অ‌্যাসোসিয়েশন গঠনে সম্মতি দিতে হবে।

৬. সেমিস্টারে এস্টাব্লিস্টমেন্ট এবং ডেভেলপমেন্ট ফি নেয়া হলেও তার সকল সুবিধা দেওয়া হয় না, এ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ল্যাব সুবিধা, ক্লাসরুম উন্নয়ন, ওয়াশরুম সংস্কার, নিরাপত্তার জোরদার, ক্যান্টিনের খাবার ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, যাতায়াত ব্যবস্থা ও গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

৭. বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন গঠনের অনুমতি দিতে হবে। যেখানে প্রতিনিধিত্ব করবে বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

৮. নতুন করে একাডেমিক ক্যালেন্ডার বর্তমান সেমিস্টার রুটিনের আদলেই তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

৯. ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল কর্মকাণ্ড সহজ ও সাবলীল করার লক্ষ্যে র‌্যাগ ফেস্টসহ সব ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ