পিতার স্থলাভিষিক্ত হলেন তামারা আবেদ

  © টিডিসি ফটো

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন বোর্ডের সদস্য ও ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ। এর মাধ্যমে পিতা ফজেলে হাসান আবেদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তামারা।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৫ জুলাই থেকে তার এই নিয়োগ কার্যকরের কথা জানানো হয়।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির চেয়ারপারসন পদে ছিলেন তার বাবা স্যার ফজলে হাসান আবেদ।

তামারা আবেদ ২০১১ সালের জানুয়ারিতে বোর্ডের সদস্য এবং মার্চ মাসে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ডের আর্থিক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন পদেও আছেন তিনি।

নতুন পদে আসার প্রতিক্রিয়ায় তামারা আবেদ বলেন, “অসাধারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়নে কাজ করা– এটি আমার জন্য একটি বিশেষ সুযোগ।”

তিনি বলেন, “ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক উদ্দেশ্য হলো একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জ্ঞান ও শিক্ষার উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি করা। সেই উদ্দেশ্য অর্জনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড অঙ্গীকারাবদ্ধ।”

বিদায়ী চেয়ারপারসন ফজলে হাসান আবেদকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমার একটি গর্বের জায়গা। এর কৃতিত্ব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের। ৮৩ বছর বয়সে আমি মনে করি নতুন নেতৃত্বের হাতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব তুলে দিয়ে আমার সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।”

ব্র্যাকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই দশকের কর্মজীবনে তামারা আবেদের বিনিয়োগ ব্যাংকিং, বাণিজ্য এবং সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আড়ং, ব্র্যাক ডেইরি এবং ব্র্যাক সিড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজসহ ১৩টি উদ্যোগের প্রধান তিনি। ২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইনান্স বিষয়ে এমবিএ করা তামারা আবেদ শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য বেটা গামা সিগমা সোসাইটি কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। এর আগে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক পাস করেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে।

২০১০ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া তামারা আবেদ এশিয়া সোসাইটি থেকে পেয়েছেন ‘এশিয়া ২১ ইয়াং লিডার’-এর সম্মাননা।

পিতার মতোই বর্ণার্ঢ কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতির অংশ হিসেবে ২০১৪ সালে ওয়ার্ল্ড উইমেন লিডারশিপ কংগ্রেসের ‘আউটস্ট্যান্ডিং উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পান তামারা।


সর্বশেষ সংবাদ