সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়ে পড়ি, এবার কি জীবনটাও দিব?

দুর্ঘটনাস্থল
দুর্ঘটনাস্থল  © সংগৃহীত

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে লিফট ছিঁড়ে আহত হয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। তবে তা গুরুতর নয় বলে জানা গেছে। আজ বিকাল ৪টার দিকে মহাখালী ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় ভবনের এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ লিফটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ তলা ভবনের প্রধান লিফটগুলোর একটি। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কম শিক্ষার্থী নিয়ে লিফটি আজ বিকেলে ছিঁড়ে যায়।

এদিকে ছাত্র আহত ওই হওয়ার ওই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এক শিক্ষার্থী। লিখেছেন, ‘‘নাম্বার ওয়ান প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি (গত বছর এক নাম্বার ছিল তারা); এই বুলি শোনাতে শোনাতে কান পঁচায় ফেলেছিল অথরিটি। আসুন দেখি আমরা কতটা নিরাপদ? বাংলাদেশের মধ্যে সব থেকে বেশি টিউশন ফি দিয়ে পড়া-লেখা করছি আমরা। ক্যাম্পাস তো নাই, ক্লাস ছাড়া বসার জায়গা পাওয়াটাও দুষ্কর।

হ্যা, নিয়মের ব্যাপারে তারা সোচ্চার। তিনটা ক্লাস মিস করলেই চিন্তা শুরু শুরু হয় মার্কস কাটার, সাথে আছে ফাইনাল দিতে না দেয়ার ভয়। দশ মিনিট দেরি হলে ক্লাসে ঢুকতে দেবে না, নয়তো উপস্থিতি দেবে না। ক্লাস কোথায় হয় জানেন? ১৫ তলায়/ ৮ তলায়/ ১০ তলায়। এই সব টাওয়ারে সিঁড়ি ভাঙিয়ে ওঠা যে কতটা কষ্টসাধ্য; তা লিফট ছাড়া উঠতে হলে বোঝা যায়।

এত টাকা নিচ্ছে, অথচ আজকে লিফট ছিড়ে পরে স্টুডেন্ট আহত হয়। এক লিফট দিয়ে আর কয় যুগই বা চলে! ছাত্র-ছাত্রী মারা গেলে অথারিটির কি! তাদের তো অভাব নাই ছাত্রের। এই লিফট ১৯ তলা পর্যন্ত ওঠে, আল্লাহ না করুক, যদি ৩য় তলা থেকে ছিড়ে না পরে ১৯ তলা থেকে পরতো, তাহলে লিফটে থাকা স্টুডেন্ট আর সিকিউরিটি গার্ডদের লাশ বের হোত আজকে। নিরাপত্তা কই আমাদের? বঞ্চিত হচ্ছি অনেক কিছু থেকেই, এবার কি জীবনটাও দিয়ে দিতে হবে?’’

আহত এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘ভবনের তিনতালা থেকে লিফটটি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায়। পড়ার সময় উপরের ফলস সিলিং, লাইট ভেঙ্গে পড়ে আমাদের মাথার ওপর।’ ভারী সিলিংয়ের আঘাতে ও টিউব লাইটের কাঁচের গুড়োতে আহত হন একাধিক শিক্ষার্থী।’


সর্বশেষ সংবাদ