বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়কর বিবরণী দাখিল করতেই হবে

  © ফাইল ছবি

দেশের সবগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক আয়কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী এখন থেকে প্রতি বছর শেষে তাদেরকে আয়কর বিবরণী দাখিল করতেই হবে। সদ্য ঘোষিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ নিয়মের কথা জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, আয়কর বিবরণী দাখিল না করা হলে আয়রক অধ্যাদেশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও এবারের বাজেটে কয়েকটি খাতের প্রতিষ্ঠানের আয়কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ফার্ম ও ব্যক্তিসংঘ।

গত বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে অধিবেশনে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯তম এবং বর্তমান অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট প্রস্তাব। ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অনুমোদন দেয়। বাজেট ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা বাজেটের এই অনুমোদন দেয়।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকার মতো বেশি।

নতুন বাজেটে ব্যয় মেটাতে সরকারি অনুদানসহ আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এনবিআর–বহির্ভূত করব্যবস্থা থেকে আসবে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন সেবামূলক থেকে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করে রাখা হয়েছে। বরাবরের মতো আগামী বাজেটের ঘাটতিও থাকছে জিডিপির ৫ শতাংশ। মোট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা ধরা হয় ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। সরকারের অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা আছে ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।


সর্বশেষ সংবাদ