নারীকে সাহসী হতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

  © টিডিসি ফটো

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নারীকে প্রথমে তার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে হবে। সাহসী হতে হবে। সিদ্বান্ত নেয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ইউল্যাব ইউনিভার্সিটিতে ইউল্যাব ও ওয়ার্ড একাডেমি ফর দ্য ফিউচার অব উইমেন (ডব্লিউএএফডব্লিউ) এর যৌথ আয়োজনে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের ইউমেন লিডারশীপের উপর এক প্রশিক্ষনের উপর অর্জিত সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 

ডা. দীপু মনি এসডিজি অর্জনে নারীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, যখনই আমরা পৃথিবী সম্পর্কে কথা বলি, আমরা যখনই উন্নয়ন নিয়ে কথা বলি এমনকি অর্থবহ জীবন নিয়ে কথা বলি সবজায়গায় নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরউয়েজ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য তাহেরা হক এবং কাজী নাবিল আহমেদ এমপি; সাবেক কূটনীতিজ্ঞ ও ডব্লিউএএফডব্লিউ-এর একজন শিক্ষক মাইকি ভেন ভ্লি; ইউল্যাবের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সামসাদ মর্তূজা।

এসময় ইউল্যাবের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক শিক্ষামন্ত্রীর হাতে শুভেচ্ছা স্বারক ক্রেস্ট তুলে দেন ও ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর বিশেষ উপদেষ্টা প্রফেসর ইমরান রহমান বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরউয়েজ-এর হাতে শুভেচ্ছা স্বারক ক্রেস্ট তুলে দেন। অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রেড-অরেঞ্জ মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন, আমাল ফাউন্ডেশন, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনের কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ।

বিগত দশ বছর ধরে চীন এবং নেপালে নিজেদের কার্যক্রম অব্যহত রাখার পর, ইউল্যাবের সহযোগীতায় বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড একাডেমি যাত্রা শুরু করে গত বছরের ১৪ অক্টোবর। এটি একটি আটমাস ব্যাপী নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ কর্মসূচী। জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার উপর ভিত্তি করে এই পাঠ্যক্রম পরিকল্পনা করেছেন ডব্লিউএএফডব্লিউ প্রতিষ্ঠাতা জেরি উবার্লি। ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারী দক্ষ্যতা অত্যাবশ্যক। এই আটটি মডিউলে নারীদের বিশ্বব্যাপী অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় নেতৃত্বমূলক শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে যার মাধ্যমে পৃথিবীর সকল প্রান্তে একজন নারী স্বনির্ভর এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে ও ভবিষ্যতে অন্যান্য নারীদের পথ প্রদর্শক হিসেবেও সক্রিয় ভুমিকা রাখতে পারে।

ওয়ার্ল্ড একাডেমির বেশীরভাগ স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষক জার্মানি, চীন, আমেরিকা এবং নেদারল্যান্ড এর নাগরিক। বিশ্বমানব তৈরির লক্ষে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই সকল স্বেচ্ছাসেবী নিজেদের নেতৃত্বজ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করেছেন এই অত্যাধুনিক পাঠ্যক্রম ।


সর্বশেষ সংবাদ