প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ উদযাপন

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপনে অতিথিরা
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপনে অতিথিরা  © টিডিসি ফটো

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষেআলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ‘হৃদয়ে রবীন্দ্র–নজরুল’শিরোনামে মুখ্য আলোচক হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। 

মঙ্গলবার (০৬ জুন) রাজধানীর বনানী স্টার টাওয়ারস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি কনফারেন্স হলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুই কবির কবিতা আবৃতি ও তাদের লেখা গান পরিবেশন করেন।
 
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবী মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কাজী এ এস এম আরিফ। অনু্ষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. শুভময় দত্ত। 

অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম সকল ধর্মের, সকল মানুষের এবং মানবতার কবি ছিলেন। আমাদের আনন্দে, আমাদের সুখে, আমাদের আবেগে-আহ্লাদে-উচ্ছ্বাসে যারা সকলকে ছুঁয়ে যান, উদ্ভূদ্ধ করেন তারা রবীন্দ্রনাথ-নজরুল। তাদের পরস্পরের কোন তুলনা চলে না। তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বমহিমায় উজ্জ্বল।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবী মোল্লা বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ও বিদ্রোহী কবি নজরুলের একে অপরের প্রতি ছিল অগাধ শ্রদ্ধা। তাদের সৃষ্টি প্রকৃতি, প্রেম, দ্রোহ, সামাজিক ন্যায়বিচার, অসাম্প্রদায়িকতা এবং মানবতার সূত্রে গাঁথা। এছাড়াও বাঙালি জাতির জীবনবোধ নিয়েও কাজ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল। নির্যাতিত-নিষ্পেষিত জাতিতে মাথা তুলে দাঁড় করাতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে তাদের লেখনী।


সর্বশেষ সংবাদ