স্কুলের নাম শুনে হাসাহাসি করে মানুষ

যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের মাংগীরপাড়া গ্রামে অবস্থিত ‘মাংগীরপাড়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ‘মাংগীরপাড়া’ শব্দটি নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অস্বস্তি বেশি। তাদেরই সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। অন্য বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা বিদ্রূপ করায় অনেকেই ভর্তি হতে চায় না এখানে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীও চান বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হোক।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের নামটি বিব্রতকর। শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাইকে প্রতিনিয়ত অস্বস্তিতে পড়তে হয়। যে কেউ নামটি শুনলে পাল্টা প্রশ্ন করেন এমন নাম হয় নাকি। বেশিরভাগ মানুষ বিদ্যালয়ের নাম শুনে হাসাহাসি করেন। কোমলমতি শিশুরাও প্রতিনিয়ত বিদ্রূপের শিকার হয়। অন্য বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরতদের বিদ্রূপ করে। এতে কোমলমতি শিশুদের মন খারাপ হয়ে যায়। অনেকেই বিদ্যালয়ে পড়তে চায় না।

তিনি বলেন, তিন বছর দায়িত্ব পালন করছি। কয়েকবার বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি কিন্তু হয়নি। শিক্ষক শিক্ষার্থী ও গ্রামের ৯০ শতাংশ মানুষ চায় নাম পরিবর্তন হোক। এই অস্বস্তি থেকেই সবাই মুক্তি চায়। মানুষের উপহাসের পাত্র আর কেউ হতে চায় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আবারও অবহিত করেছি, যাতে দ্রুত নাম পরিবর্তন সম্ভব হয়।

শুধু মাংগীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, যশোর জেলায় আরও অনেক বিদ্যালয় রয়েছে, যার নাম শ্রুতিমধুর নয়। এমন প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে তালিকা করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তালিকা প্রস্তুত করবে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে যাচাই বাছাই করে শ্রুতিমধুর নয় এমন বিদ্যালয়ের তালিকা করবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। এরপর জেলার চূড়ান্ত তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ