প্রাথমিকের শিক্ষককে মারধর করে গাছে বেঁধে রাখল

  © সংগৃহীত

চাঁদপুরের হাইমচরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধরের পর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নে পাড়া বগুলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই এই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে। সর্বশেষ রবিবার সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বড়ভাই শফিকুর রহমানের ছেলের গায়ে পানির গ্লাস ছুড়ে মারেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মকবুল হোসেন (রুবেল)। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোলার দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে মকবুলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

এ ঘটনায় পর ৫৪নং উত্তর পাড়া বগুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মকবুল হোসেন তার বড় ভাই সরদার শফিকুর রহমানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন তার ছোট ভাই আলমাস সরদার, বড় ভাই শফিকুর রহমান, ভাতিজা নবাব শরীফ শুভ, নেওয়াশ শরীফ নয়ন, ইয়াসমিন পম্পী, শান্তা ইয়াসমিন, সকিনা বেগম বিউটি।

এ ব্যাপারে মকবুল হোসেন বলেন, আমার বড় চার ভাই এবং ছোট ভাই আমাকে এর আগেও ৩-৪ বার মারধর করেছে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার না করলে তারা আমাদেরকে মেরেই ফেলতো। মারধরের পর তারা আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। তারা বলে, আমি নাকি পাগল।

অভিযুক্ত শফিকুর রহমান বলেন, রুবেল একটা পাগল। মাঝে মাঝে পাগলামি করে। রুবেল মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো তাই বেধে রেখেছিলাম।

এ বিষয়ে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।


সর্বশেষ সংবাদ