বেতন অনিশ্চয়তায় ৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ হাজার শিক্ষক

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। ঘরবন্দী সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন পেলেও বরাবরের মতোই আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত থেকে যাবে জাতীয়করণ থেকে বাদপড়া ৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক।

বিনা বেতনে শিক্ষকতা করলেও জীবিকা নির্বাহের জন্য এসব শিক্ষকরা খণ্ডকালীন কাজ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, টিউশন, কৃষি কাজসহ বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। চলমান পরিস্থিতিতে এসব কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে গতকাল সোমবার এ আবেদন করা হয়। সংগঠনটির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন বিষয়টি নিশ্চিত জানিয়েছেন।

সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছি। জীবিকার জন্য অন্য কাজ করতে হতো। করোনার কারণে এখন তাও বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার প্রধান আমাদের প্রতি সদয় না হলে স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা ভাই-বোন নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের আবেদন জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে আবেদন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে অফিস বন্ধ থাকায় আমরা খোলা চিঠির মাধ্যমে এ আবেদন জানিয়েছি।