প্রাথমিক শিক্ষকদের তৈরি ভিডিও টিভিতে প্রচারযোগ্য নয়: অধিদপ্তর

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রাথমিকের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।

আজ বৃহস্পতিবার ডিপিই মহাপরিচালক বলেন, ‘শিক্ষকদের বাসায় তৈরি করা ভিডিও নিম্নমানের হওয়ায় তা এডিট করে টেলিভিশনে সম্প্রচার করা যাচ্ছে না। পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা (শিক্ষকরা) স্টুডিওতে আসতে পারছেন না। আবার তারা ভিডিও তৈরি করে পাঠালেও তা ভালো মানের হচ্ছে না। এ কারণে যে সব শিক্ষকরা কাছাকাছি রয়েছেন, তাদেরকে রেকর্ডিং স্টুডিওতে নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।’

এর আগে প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশনে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক জরুরি সভা করে টেলিভিশন ও একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ক্লাস প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর মধ্যে রয়েছে প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য বর্ণ ও বানান শিক্ষার ওপর শিক্ষকদের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে প্রচার এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রেণি পাঠ বাস্তবসম্মত করে তা প্রতিদিন টেলিভিশনে প্রচার করা।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের কাছে শ্রেণি পাঠের ভিডিও ধারণ কার্যক্রমে যুক্ত হতে নিবন্ধন করতে বলা হয়। সেখানে শতাধিক শিক্ষক নাম নিবন্ধন করলেও ৪০ জন শিক্ষককে নির্বাচন করে ডিপিই।

নির্বাচিতদের কাছে রেকর্ডিং করা ভিডিও চাওয়া হলে শিক্ষকরা যে সব ভিডিও পাঠিয়েছেন তা এডিট করে টেলিভিশনে সম্প্রচার করার মতো নয়। শিক্ষকদের দক্ষতা না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রাথমিকের শ্রেণি পাঠ কার্যক্রম টেলিভিশনে প্রচার শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, ‘অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে শিক্ষকরা নিবন্ধন করলেও দক্ষ ও সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তাদের পাঠানো ভিডিও সম্প্রচার করা যাচ্ছে না। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আগের চাইতে অনেক দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সব শিক্ষকের তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তারা প্রজেক্টর ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে থাকেন।’ দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের এ কাজে যুক্ত না করায় এটি বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ