জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগ পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

দেশের ৩২ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রের তথ্য , আদালতে মামলা দায়ের করায় দেশের ৪১ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করা ২০ জেলার প্রার্থীদের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা হলেও বাকি ৪১ জেলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। পরে আদালতের স্থগিতাদেশ বাতিল করতে উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মূলত এর প্রেক্ষিতেই ২০ জেলায় যোগদান ও পদায়ন দেয়া হয়েছে। ১২টি জেলায় চলমান রয়েছে। তবে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাকি ২৯ জেলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এগুলোও দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, মন্ত্রণালয় থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করায় এ পর্যন্ত মোট ৩২ জেলার নিয়োগের স্থাগিতাদেশ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও বরগুনা জেলার স্থগিতাদেশ বতিল করা হয়েছে। বর্তমানে এসব জেলায় চূড়ান্তভাবে পাস করা প্রার্থীদের যোগদান, প্রশিক্ষণ ও পদায়নের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি ২৯ জেলার স্থগিতাদেশ বাতিলে আপিল করা হয়েছে। আদালত থেকে স্থাগিতাদেশ দেয়ার পর এসব জেলায় যোগদান ও পদায়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিই মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ বাতিল হওয়ায় ৩২ জেলায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকি ২১ জেলায় যোগদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব জেলায় সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে। এ জন্য তারা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান মহাপরিচালক।

উল্লেখ্য , ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১-৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। গত বছর সারাদেশে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ