আন্দোলনের ডাক ৪৩ জেলার যোগদান বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকদের

  © ফাইল ফটো

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ এ যোগদান বঞ্চিত শিক্ষকদের দ্রুত যোগদান এবং গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পদায়ন কার্যকর করার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। আন্দোলনের প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে যোগদান বঞ্চিত সহকারী শিক্ষকরা।

বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করে শনিবার ওই কর্মসূচির মুখপাত্র মো. কবির আহমেদ বলেন, ৪৩ জেলার প্রায় ১৪ হাজার নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ২০১৮ সালে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমরা নিয়োগপত্রও পেয়েছি। এরপর হঠাৎ করেই ৪৩টি জেলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২২টি জেলার শিক্ষকদের যোগদানের কথা থাকলেও ১৮টি জেলার শিক্ষকরা যোগদান করতে পারে আর বাকিরা যোগদান না করতে পেরে ফিরে আসে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর আমরা যে চাকরি করতাম সেটি ছেড়ে দেই। তখন থেকেই মূলত আমরা বেকার হয়ে যাই। নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি দেশ গড়ার কারিগরদের দ্রুত যোগদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। না হলে নিয়োগ বঞ্চিত ১৪ হাজার শিক্ষক এবং তাদের পরিবার রাস্তায় নেমে আসবে।

২১ জেলায় প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন: দেশের ২১ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ পদায়ন শুরু হয়েছে। এখন তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। তবে আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ৪০ জেলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে। এগুলোর মধ্যে আদালতে মামলা দায়ের করায় দেশের ৩৮ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। আর ঠাকুরগাঁও এবং লক্ষ্মীপুর জেলার নিয়োগে কোটা অনুসরণ না করায় নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ কারণে মোট ৪০ জেলায় এ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাদের অনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করার কথা ছিল। তবে আদালতে মামলা দায়ের করার কারণে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক যোগদান করতে পারেনি।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। ২০১৯ সালে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ