শিক্ষার্থীদের বেতনে চলছেন চার নারী শিক্ষক

  © সংগৃহীত

নানান সমস্যায় জর্জরিত কুমিল্লা কারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত জন শিক্ষকের মধ্যে চার জন নারী শিক্ষকের বেতন দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের থেকে পাওয়া মাসিক বেতন থেকে। বিদ্যালয়টির সমস্যাগুলো সমাধানসহ এটি সরকারি করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকার লোকজন।

জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে সাত জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে তিন জন পুরুষ এবং চার জন নারী। পুরুষ শিক্ষক তিন জনই কারা বিভাগের কর্মচারী। তারা কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বেতন পেলেও নারী শিক্ষকেরা আছেন বিপাকে। তারা কারা কর্তৃপক্ষের কর্মচারী না হওয়ায় বছরের পর বছর নামমাত্র বেতনে শিক্ষকতা করছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক নূর জাহান সাথী বলেন, কত টাকা পাই তা বলব না, তবে গত ছয় বছর ধরে সামান্য বেতনে শিক্ষকতা করছি। বিদ্যালয়টি সরকারি হলে অন্য সব সরকারি বিদ্যালয়ের মতো আমাদের বেতন-ভাতা বাড়বে এবং তা নিয়মিত হবে—এমন আশায় আছি। এখন এ বিদ্যালয়ের আয়ের উত্স ছাত্রছাত্রীদের থেকে নেওয়া বেতন।

কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম সাংবাদিকদের জানান, এ বিদ্যালয়ে কারাগারের তিন জন কর্মচারী এবং বাইরের চার জনসহ সাত জন শিক্ষক আছেন। কারাগারের কর্মচারীরা (শিক্ষক) কারাগার থেকে বেতন পেলেও বাইরের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের থেকে পাওয়া বেতন দিয়েই চলছেন। কারাগারের কর্মচারীদের নিকট থেকে কিছু টাকা সংগ্রহ করে বাইরের শিক্ষকদেরকে বেতনের সঙ্গে দেওয়া হয়। শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ