প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা জানতে চেয়ে রুল হাইকোর্টের

  © ফাইল ফটো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ১৪৭ শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর ও রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ লঙ্ঘন করে গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  একইসঙ্গে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন করে ফলাফল কেন ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

দশ দিনের মধ্যে বিবাদীদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত ২৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে গেজেট জারি করে সরকার। গত রোববার নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী শামীমা সুলতানাসহ ১৬ জন এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন।

কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩-এর অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলির ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, ২০ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকী ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। এজন্য তাই ১৬জন নিয়োগপ্রার্থী ফলাফলের বৈধতা নিয়ে রিট করায় আদালত রুল জারি করেছেন।

গত বছরের ৩০ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১ থেকে ৩০ আগস্ট ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। পরে চার ধাপে ২৪ মে, ৩১ মে, ২১ জুন এবং ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গত সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী সারাদেশের মৌখিক পরীক্ষা শেষে ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান শুরু হবে।১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি পদায়নের আদেশ জারি করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ