শিগগিরই সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

  © ফাইল ফটো

চলতি দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকরা শিগগিরই সুখবর পেতে যাচ্ছেন।তাদেরকে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব থেকে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আগে সহকারী শিক্ষদের পদোন্নতি দিয়ে ৬০ শতাংশ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হতো। বাকি ৪০ শতাংশ পিএসসি থেকে নিয়োগ পেতেন। পিএসসি থেকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পান।

তবে সহকারী শিক্ষরা পদোন্নতি পেয়ে এ পদে আসলে ১২তম গ্রেডে বেতন পান। এ বৈষম্য দূর করতে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। পরে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্বে এ পদে বসানো হয়।

পদোন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, মামলার কারণে দীর্ঘদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষদ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন, চলতি দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের মূল বেতনের অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকা দেয়া হয়। এর বাইরে কোনো সুবিধা পান না তারা। এসব শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা পাবেন তারা। বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দিতে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়া এ পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি মন্ত্রণালয়ের আওতায় হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

নিয়োগবিধি মোতাবেক দশম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগ পিএসসির আওতাভুক্ত। আকরাম-আল-হোসেন বলেছেন, ‘অন্যান্য সংস্থার মতো প্রধান শিক্ষক নিয়োগে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করব। পিএসসি থেকে এ প্রক্রিয়া হস্তান্তর করা হলে পর্যায়ক্রমে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হবে।

তিনি বলেন, নতুন করে নিয়োগ বাতিল করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে বসানো হবে। শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা এ লক্ষ্যে সংশোধন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ