ডান হাত নেই, মনীষার ভরসা বাম হাত

জন্মগতভাবেই ডান হাতের অর্ধেক নেই মনীষার। বাঁ হাত দিয়ে সব কাজ করতে হয় তার। প্রাত্যহিক কাজ সারতে অন্যজনের সহায়তা নিতে হয়। পড়াশোনায় সে মনোযোগী। তবে বেশিক্ষণ পড়াশোনা করলে তার মাথাব্যথা করে।

বাঁ হাতের ভরসায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় বসেছে মনীষা। সোমবার বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে দেখা মেলে এ ক্ষুদে পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখা গেছে, মনোযোগ দিয়ে লিখছে সে। একটি হাত না থাকায় খাতা বা প্রশ্নের পৃষ্ঠা উল্টানোর কাজটা টেবিলে কলম রেখে সারতে হচ্ছে। পুরোপুরি তিন ঘণ্টাই লেখে ছোট্ট মনীষা। তারপর মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরে সে।

পরীক্ষা শেষে কথা হয় মনীষার মা পলাশী দেবের সঙ্গে। পলাশী দেব জানান, মনীষার বাবা দোলন দেব পেশায় কৃষক। অর্থের সমস্যা থাকলেও সন্তানদের পড়াশোনার বিষয়ে তিনি উৎসাহী। মনীষা বিদ্যালয় থেকে কিছু টাকা পেলেও প্রতিবন্ধী ভাতা পায় না। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে মনীষা ছোট।

মনীষা দক্ষিণ জলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শাহানাজ পারভীন বলেন, একটি হাত না থাকলেও মনীষা পড়াশোনায় মনোযোগী। সে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকত। ঠিকমতো ক্লাস করত।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অনিক রায় বলেন, ‘আমি বাঁশখালীতে যোগদান করেছি বেশি দিন হয়নি। পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের সময় মনীষাকে দেখেছি। খবর নিয়ে জেনেছি সে কোনো সরকারি ভাতা পায় না। এ বিষয়ে তার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমাজসেবা কার্যালয়ে এসে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেছি।’


সর্বশেষ সংবাদ